পুস্তক পরিচয় ৩

নব রূপে দেশপ্রাণ

আপনাদের আইনটি শেষ পর্য্যন্ত পল্লী অঞ্চলে জীবনধারণ আরও ব্যয়বহুল করিয়া তুলিবে।’— ১৯২১-এর অগস্টে কাঁথির মহকুমা অফিসারকে যে দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলেন বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, এটি তারই অংশ। ওই চিঠিতেই লিখছেন, ‘যদি আপনি বেশী কর বসাইবার জন্য দরিদ্র ব্যক্তিদের নিকটে যান, তবে আপনি তাহাদের নিকটে নির্দ্দয় ও নিপীড়ক হইয়া দাঁড়াইবেন।’

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৫ ০০:০১

আপনাদের আইনটি শেষ পর্য্যন্ত পল্লী অঞ্চলে জীবনধারণ আরও ব্যয়বহুল করিয়া তুলিবে।’— ১৯২১-এর অগস্টে কাঁথির মহকুমা অফিসারকে যে দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলেন বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, এটি তারই অংশ। ওই চিঠিতেই লিখছেন, ‘যদি আপনি বেশী কর বসাইবার জন্য দরিদ্র ব্যক্তিদের নিকটে যান, তবে আপনি তাহাদের নিকটে নির্দ্দয় ও নিপীড়ক হইয়া দাঁড়াইবেন।’ এখান থেকে যে দেশপ্রাণ মানুষটিকে চেনা যায়, তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা মূলধারার ঐতিহাসিকদের প্রায়ই নজর এড়িয়ে গিয়েছে। স্বদেশরঞ্জন মণ্ডল ব্রতী হয়েছেন দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল রচনাবলী (শিরোপা, ৬০০.০০) নির্মাণে। এতে স্রোতের তৃণ সহ বীরেন্দ্রনাথের গ্রন্থ, প্রবন্ধ, ভাষণ, পত্রাবলি, সৃষ্টিশীল রচনা রয়েছে, সঙ্গে বংশলতিকা, জীবনপঞ্জি, আলোকচিত্র। জরুরি এই সংগ্রহের কথামুখ-এ বীরেন্দ্রনাথের নাতিদীর্ঘ মূল্যায়নে সম্পাদক জানিয়েছেন ‘তাঁর মত ছিল একজন অহিংস সংগ্রামীকে বিদেশি শাসকদের হাজার উৎপীড়ন সহ্য করেও অহিংস থাকার শিক্ষা লাভ করতে হবে। কিন্তু... সেই অত্যাচারীদের প্রতিরোধ করার জন্য এই অহিংস পদ্ধতির অনুসরণকারীরা প্রয়োজন বোধে বলপ্রয়োগে বা রক্তপাতে দ্বিধা করবে না।’

Advertisement
আরও পড়ুন
Advertisement