সুখ যখন আলেয়া

গদাধর চট্টোপাধ্যায় নস্টালজিয়ায় ভোগা এক মানুষ। শৈশবের প্রকৃতি ঘেরা দেশের বাড়ির কথা, দুর্গাপুজোর কথা, যৌথ পরিবারে কাটানো দিনগুলোর স্মৃতি যাঁর খুব মনে পড়ে। প্রতিটি ঋতুর ঘ্রাণ পান তিনি। নাটকে যে মানুষটি সমাজের আয়না হয়ে দাঁড়ায়।

Advertisement
পিয়ালী দাস
শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৭ ০০:১৩

নিজেদের সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থানকে আরও উচ্চতা দিতে আমরা ছুটেই চলেছি এক আলেয়ার দিকে। ভোগ বিলাসিতাই যেখানে জীবনের মূল মন্ত্র হয়ে উঠছে। ফলে ক্রমশ বিচ্যুত হচ্ছে নিজেদের শিকড়, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য থেকে। আধুনিকতার পরতে সম্পর্ক, ভালবাসা, এমন অনেক কিছুরই বাঁধন আলগা হয়ে যাচ্ছে কিংবা হারিয়ে যাচ্ছে। পরিণতি যার ভয়ঙ্কর। এমনই বিষয় নিয়ে মঞ্চস্থ হল চরৈবেতি-র প্রযোজনায় ‘ফেস অফ’ নাটকটি। পরিচালনায় এবং নাট্য ভাবনায় বিশ্বনাথ বসু। সাধারণত কৌতুক চরিত্রে আমরা তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত হলেও, এ নাটকে একেবারে সিরিয়াস চরিত্রে অবতীর্ণ বিশ্বনাথ।

গদাধর চট্টোপাধ্যায় নস্টালজিয়ায় ভোগা এক মানুষ। শৈশবের প্রকৃতি ঘেরা দেশের বাড়ির কথা, দুর্গাপুজোর কথা, যৌথ পরিবারে কাটানো দিনগুলোর স্মৃতি যাঁর খুব মনে পড়ে। প্রতিটি ঋতুর ঘ্রাণ পান তিনি। নাটকে যে মানুষটি সমাজের আয়না হয়ে দাঁড়ায়।

Advertisement

জীবনে সব প্রাপ্তি সত্ত্বেও ভোগী মানুষেরা চরম অতৃপ্তি নিয়ে সমস্যার সন্ধানে ছুটে আসে গদাধরবাবুর কাছে। নাটকটি মঞ্চস্থ হয় ব্রেখটীয় কায়দায়। সরাসরি দর্শকের মুখোমুখি হয়ে অভিনয়। নাটকে ঘটে চলা এই ঘটনাগুলো প্রতিটা মানুষকেই যেন তাদেরও নিজেদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।

গদাধরের ভূমিকায় মুগ্ধ করেন বিশ্বনাথ বসু। এ ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে প্রশংসনীয় বিশ্বজিৎ, অর্পিতা প্রমুখ। নাটকে ব্যবহৃত ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ও পারে’ (দেবিকা বসু) রবীন্দ্রসঙ্গীতটি মন ছুঁয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement