বাজার মহলের খবর, সূচক পড়লেও পরিস্থিতি সামলে দিয়েছে সামগ্রিক বাজার। —প্রতীকী চিত্র।
ভারত-সহ ৬০টি দেশের পণ্যের উপরে বুধবার মোটা অঙ্কের আমদানি শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় পণ্যের উপরে ২৭% শুল্ক চাপছে। এই ঘোষণায় প্রত্যাশিত ভাবেই বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার মাথা নামাল। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, প্রথমে যেমন আশঙ্কা করা হয়েছিল, দিল্লির উপরে শুল্ক চেপেছে তার চেয়ে কিছুটা কম। ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাজারে দোলাচল থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে তার ভিত পোক্ত হবে। এ দিন বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারই মাথা নামিয়েছে। তবে ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রা এগিয়েছে অনেকটা।
এ দিন সেনসেক্স ৩২২.০৮ পয়েন্ট পড়ে ৭৬,২৯৫.৩৬ অঙ্কে থেমেছে। যদিও একটা সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি এবং প্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রির জেরে সূচকটি ৮০৯.৮৯ পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে মূলত ওষুধ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের শেয়ারের অগ্রগতির উপরে ভর করে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। নিফ্টি ৮২.২৫ পয়েন্ট পড়ে হয়েছে ২৩,২৫০.১০। লেনদেনের মাঝে ১৮৬.৫৫ পড়ে গিয়েছিল। এ দিন শুরুতে ডলারের নিরিখে টাকা নামতে থাকলেও পরে তা-ও ঘুরে দাঁড়ায়। দিনের শেষে ১ ডলারের দাম ২২ পয়সা কমে হয়েছে ৮৫.৩০ টাকা।
বাজার মহলের খবর, সূচক পড়লেও পরিস্থিতি সামলে দিয়েছে সামগ্রিক বাজার। বিএসই-তে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির মধ্যে ১১৭৫টির শেয়ার পড়েছে ঠিক, কিন্তু ২৮০৯টির দাম বেড়েছে। ঠিক তেমনই ছোট শেয়ারগুলির সূচক বেড়েছে ০.৭৬%, মাঝারি শেয়ারের ০.৩১%। যদিও এশিয়ার মধ্যে টোকিয়ো, হংকং, সোল এবং সাংহাইয়ের বাজার পড়েছে অনেকটা। মাথা নামিয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন বাজারও।
বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, ‘‘আমেরিকার শুল্ক প্রয়োগের পরে অন্যান্য দেশও পাল্টা শুল্ক চাপাতে পারে বলে আশঙ্কা। ফলে বিশ্ব বাজার অনিশ্চিতই। তবে ওষুধ-সহ ভারতের কয়েকটি ক্ষেত্রকে শুল্কের বাইরে রাখার ফলে এ দেশের বাজারে মিশ্র প্রভাব দেখা যাচ্ছে। আপাতত অস্থিরতা থাকলেও বাজার ধীরে ধীরে থিতু হবে। ফিরবে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার পুঁজি।’’