ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি দিনই কমছে টাকার দর। ডলারের নিরিখে ফের টাকার দরে রেকর্ড পতন। যা দেখে আশঙ্কায় ভুগছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। ভারতীয় মুদ্রার ক্রমাগত মূল্য কম হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের কপালে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিপুল অর্থ তুলে নেওয়ার জেরে টাকা কমজোরি হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অবিলম্বে পরিস্থিতির বদল না হলে তা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এক ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৮৪.১২২৫ টাকা। যা এ যাবৎ সর্বনিম্ন বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার বাজার বন্ধের পর টাকার মূল্য কমে দাঁড়িয়েছিল ৮৪.১১। মঙ্গলবার বাজার খোলার পর তা আরও কমে গিয়ে ৮৪.১৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বাজার খোলার পর পরই টাকার দাম আরও পড়তির দিকে যেতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। সেই সম্ভাবনাই সত্যি হয়ে দাঁড়ায় কিছু ক্ষণের মধ্যেই। বাজারের ক্রমাগত অস্থিরতার কারণে টাকার দর আরও নিম্নগতি হবে বলে বিদেশি মুদ্রা বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবি তুলেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক বাজারে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সেটিও টাকার দরে পতনের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন অনেকেই। ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি পুঁজি বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ভারতীয় মুদ্রার এই পতন হওয়ার আরও একটি সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞেরা।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, বিদেশি লগ্নিকারীরা ক্রমাগত ভারতীয় শেয়ার বিক্রি করে ডলার কিনে চলেছেন। প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ভারতীয় শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বিদেশি লগ্নিকারীরা ডলার কিনতে শুরু করায় আমেরিকান মুদ্রাটির চাহিদা বেড়েছে। যা একে দামি করে তুলছে। আর ডলারের দামের সূচক চড়তে থাকায় বিশ্ব জুড়েই অন্যান্য মুদ্রার দর নিম্নমুখী হয়েছে