দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে, বিলের সঙ্গে বাধ্যতামূলক ভাবে সার্ভিস চার্জ হিসাবে টাকা আদায় করা অন্যায্য বাণিজ্যিক আচরণের শামিল। —প্রতীকী চিত্র।
কোনও রেস্তরাঁ অতিথিদের েকে পরিষেবা বাবদ ‘সার্ভিস চার্জ’ আদায় করতে পারবে না, স্পষ্ট জানাল দিল্লি হাই কোর্ট। এই টাকা না নেওয়ার জন্য ক্রেতা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (সিসিপিএ) যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, তা বহাল রেখেছে আদালত। বলেছে, ওই নির্দেশিকা না মেনে কোনও রেস্তরাঁ বিলের সঙ্গে সার্ভিস চার্জ যোগ করে অতিরিক্ত টাকা দিতে জোর করলে, সেটা বেআইনি কাজ হিসাবে গণ্য হবে। যা জনস্বার্থ বিরোধী। কোনও রেস্তরাঁ এই বেআইনি কাজ করলে, সেখানে খেতে যাওয়া অতিথিরা অভিযোগ জানাতে পারবেন জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা হেল্প লাইন ১৯১৫ নম্বরে ফোন করে।
বহু উপভোক্তাই এই ‘সার্ভিস চার্জ’ নিয়ে ভুক্তভোগী বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, চার্জ না নেওয়ার নির্দেশ সত্ত্বেও রেস্তরাঁগুলি খাবারের বিলের সঙ্গে সেই খরচ হিসেবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। ‘সার্ভিস চার্জ’ কেন যোগ করা হয়েছে জিজ্ঞাসা করা হলে বলা হয়, খাবার পরিবেশন ের জন্য বখশিস বা টিপ্ হিসেবে টাকা চাওয়া হচ্ছে। আদালত স্পষ্ট বলেছে, বখশিস দেওয়াটা অতিথিদের ইচ্ছাধীন বিষয়। তা বাধ্যতামূলক ভাবে আদায় করা যায় না। এ ক্ষেত্রে জোরজুলুম করা হলে সেটা গ্রাহকের স্বার্থ ও অধিকার বিরোধী। ক্রেতা সুরক্ষা আইন ভাঙছে।
সিসিপিএ-র জারি করা নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিল রেস্তরাঁগুলির সংগঠন। তা খারিজ করেই দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে, বিলের সঙ্গে বাধ্যতামূলক ভাবে সার্ভিস চার্জ হিসাবে টাকা আদায় করা অন্যায্য বাণিজ্যিক আচরণের শামিল। এটা বন্ধ করতে সিসিপিএ-র নির্দেশিকা জারি করার অধিকার রয়েছে। খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এ দিনের রায়কে স্বাগত জানিয়ে এক্সে লিখেছেন, ‘‘রেস্তরাঁয় খাদ্য ও পানীয়ের উপরে সার্ভিস চার্জ নেওয়াকে বেআইনি বলেছে আদালত। এটা উপভোক্তাদেরই জয়।’’