Stock Market Crash

ধুঁকছে প্রায় সব সংস্থার স্টক, টানা পাঁচ সেশনে কেন পড়ল শেয়ার বাজার?

বুধবার, ১৩ নভেম্বর ফের পড়ল সেনসেক্স ও নিফটি। এই নিয়ে টানা পাঁচটি সেশনে শেয়ার বাজারে পতন লক্ষ করা গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩০
Share Bazar crash on 13 November 2024 Sensex Nifty 50 decline for 5th straight session

—প্রতীকী ছবি।

শেয়ার সূচকে ফের বড় পতন। এই নিয়ে টানা পাঁচ দিন নিম্নমুখী হল বাজার। প্রায় হাজার পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। নিফটি নেমেছে ৩০০ পয়েন্টের বেশি। যার জেরে লগ্নিকারীদের মাথায় হাত। সূচক দ্রুত ঘুরে না দাঁড়ালে লোকসানের অঙ্ক যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement

বুধবার, ১৩ নভেম্বর বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) ৯৮৪.২৩ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। যা প্রায় ১.২৫ শতাংশ। এ দিন বাজার বন্ধ হওয়ার পর ৭৭,৬৯০.৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে যায় সেনসেক্স। সকালে বিএসই খোলার সময় যা ছিল ৭৮,৪৯৫.৫৩ পয়েন্ট। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮,৬৯০.০২ পয়েন্টে উঠেছিল সেনসেক্স।

শেয়ার সূচক পতনের একই ছবি দেখা গিয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জেও (এনএসই)। দিনের শেষে যার সূচক থেমেছে ২৩,৫৫৯.০৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ নিফটি নেমেছে ৩২৪.৫০ পয়েন্ট। শতাংশের নিরিখে যা ১.৩৬। বাজার খোলার সময়ে ২৩,৮২২.৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল নিফটি। দিনের মধ্যে এই শেয়ার সূচক সর্বোচ্চ উঠেছে ২৩,৮৭৩.৬০ পয়েন্ট।

ব্রোকারেজ ফার্মগুলি জানিয়েছে, এ দিন মাত্র ৬২৮টি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দর পড়েছে ৩ হাজার ১৮০টি স্টকের। আর ৯২টি শেয়ারের ক্ষেত্রে কোনও উত্থান-পতন লক্ষ করা যায়নি। নিফটিত সর্বাধিক লোকসান হয়েছে হিরো মোটোকর্প, হিন্দালকো, টাটা স্টিল, এম অ্যান্ড এম এবং আইশার মোটরসের লগ্নিকারীদের। আর মরা বাজারেও লাভের মুখ দেখিয়েছে এনটিপিসি, ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ়, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার এবং টাটা মোটরস্।

এ দিন প্রায় সমস্ত সংস্থারই শেয়ারের দর ছিল নিম্নমুখী। গাড়ি নির্মাণকারী, সংকর ধাতু, রিয়্যাল এস্টেট, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বিদ্যুৎ ও মিডিয়া সংস্থাগুলির স্টকের সূচক দুই থেকে তিন শতাংশ নেমে গিয়েছে। বিএসইতে মাঝারি ও ছোট পুঁজির সংস্থাগুলির ২.৫ এবং তিন শতাংশের পতন দেখা গিয়েছে।

শেয়ার বাজারের ক্রমাগত এই পতনের নেপথ্যে মূলত দু’টি কারণের উল্লেখ করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। প্রথমত, ডলারের নিরিখে টাকার দামের ব্যাপক পতন। দ্বিতীয়ত, বাজার বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারীদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া। গত কয়েক দিনে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বড় অঙ্কের টাকা স্টক বাজার থেকে তুলে নিয়েছেন। যা এর সূচককে নিম্নমুখী রেখেছে।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)

আরও পড়ুন
Advertisement