Aadhar Card Verification

গ্যাসের আধার যাচাই নিয়ে বাড়ছে হয়রানি

বিপাকে বিক্রেতারাও। তাঁদের একাংশের দাবি, তেল সংস্থাগুলির ‘সার্ভারে’ একসঙ্গে বিপুল চাপ পড়ায় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে অনেক ক্ষেত্রেই সময় লাগছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৮
An image of Gas cylinders

—প্রতীকী চিত্র।

আধার তথ্য যাচাই করতে ‘নির্দিষ্ট সময়ে’র মধ্যে ভর্তুকিযোগ্য রান্নার গ্যাসের গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ, চোখের মণি, মুখাবয়বের ছবি) তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিল মোদী সরকার। তাতে সময়সীমা বলা ছিল না। তবে গ্যাস ডিলার বা বিক্রেতাদের দাবি, তেল সংস্থাগুলি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিস্ট্রিবিউটরদের (বিক্রেতা) এই কাজ সারতে বলেছে। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠছে, যত দিন যাচ্ছে, তত আধার যাচাই ঘিরে হয়রানি বাড়ছে। গ্রাহকদের ক্ষোভ, বহু জায়গায় দীর্ঘক্ষণ লাইন দেওয়ার পরেও তা সম্পূর্ণ হচ্ছে না। চাপের কারণে ‘সার্ভার’ বসে যাচ্ছে। একাধিক বার গ্যাসের দোকানে ছুটতে হচ্ছে। সব থেকে সমস্যায় পড়ছেন প্রবীণ এবং অসুস্থরা।

Advertisement

বিপাকে বিক্রেতারাও। তাঁদের একাংশের দাবি, তেল সংস্থাগুলির ‘সার্ভারে’ একসঙ্গে বিপুল চাপ পড়ায় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে অনেক ক্ষেত্রেই সময় লাগছে। তার উপরে অধৈর্য এবং হয়রান গ্রাহকের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন তাঁরা।

সরকারি ভাবে এ নিয়ে কিছু না বলা হলেও তেল সংস্থা সূত্রের দাবি, তাদের সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আধার যাচাই সম্পূর্ণ না করলে প্রাপ্য ‘ভর্তুকি’ বন্ধ হওয়া কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার যে জল্পনা বাজারে ছড়িয়েছে তা একেবারেই ঠিক নয়। এখনও এমন কোনও নির্দেশিকা নেই। এ ছাড়া যাঁরা স্বেচ্ছায় ভর্তুকি ছেড়েছেন, সেই গ্রাহকদের এখন তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছে সূত্র।

ইন্ডেন, ভারত গ্যাস এবং এইচপি গ্যাসের বিক্রেতাদের সংগঠনের কর্তা যথাক্রমে বিজন বিশ্বাস, সুকোমল সেন এবং সঞ্জয় আগরওয়াল বুধবার দাবি করেন, সার্ভারের সমস্যার জন্য বহু জায়গায় আধার তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। গ্রাহকের অসন্তোষ বাড়ছে। ফলে অনেক জায়গায় রাত পর্যন্ত কাজ চালাতে হচ্ছে। অন্য দিকে গ্রাহকদের প্রশ্ন, একটি কাজের জন্য কত বার দোকানে যাওয়া সম্ভব? অনেক পরিবার আবার গ্রাহক মারা যাওয়ার পরে নিয়মমাফিক সংযোগের নাম বদলায়নি। এখন তারা আবেদন জানাচ্ছেন। এই কারণেও বাড়তি চাপ পড়ছে গোটা ব্যবস্থায়।

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আধার যাচাই ব্যবস্থাটিতে অস্বচ্ছতা এবং পরিকল্পনার অভাব প্রকট হচ্ছে। তেল সংস্থা সূত্র বলছে, মাস দেড়েক আগে ওই নির্দেশ পাওয়ার পরে বিক্রেতাদের গ্রাহককে তা জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু গোড়ায় তথ্য যাচাই কম হয়। এখন চাপ মাত্রা ছাড়াচ্ছে। যদিও আগেই অভিযোগ উঠেছিল, এ নিয়ে কেন্দ্র বা সংস্থাগুলি প্রচার করেনি। সব বিক্রেতার কাছেও ঠিক মতো বার্তা পৌঁছয়নি। তাই সমস্যা বাড়ছে। এখন উজ্জ্বলা গ্রাহকদের এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার কানাঘুষো চললেও, সরকারি ভাবে কেউ কিছু স্পষ্ট করেনি। বিশেষত ভোগান্তি বাড়ছে প্রবীণদের। তেল সংস্থা বা বিক্রেতারা তাঁদের জন্য বাড়ি গিয়ে এই প্রক্রিয়া চালুর করার কথা বললেও বহু জায়গায় শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। তবে ভারত গ্যাস সব গ্রাহকের জন্য বাড়িতে বসেই ফোন থেকে তা করার অ্যাপ চালু করেছে। ইন্ডেন, এইচপি গ্যাসও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

আরও পড়ুন
Advertisement