—প্রতীকী ছবি।
আধার ও প্যান (পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর) সংযুক্তিকরণের সময় সীমা শেষ। ফলে এ বার ওই কাজ করতে গেলে দিতে হবে জরিমানা। বর্তমানে এর জন্য হাজার টাকা করে নিচ্ছে কেন্দ্র। গত বছরের (পড়ুন ২০২৩) ৩০ জুন শেষ হয় আধার ও প্যান সংযুক্তিকরণের সময় সীমা। ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে সংযুক্ত না হওয়া প্যানগুলিকে নিষ্ক্রিয় করেছিল আয়কর দফতর।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্তিকরণ না হওয়া প্যান ও আধারের সংখ্যা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। সংসদে তিনি বলেন, ‘‘২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সংযুক্তিকরণ বাকি থাকা প্যান ও আধারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১.৪৮ কোটি।’’ এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত জরিমানা বাবদ ৬০০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ১৩৯এএ ধারায়, করদাতাদের ক্ষেত্রে আধার ও প্যানের সংযুক্তিকরণকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি করা না থাকলে আয়কর রিটার্ন জমা করতে পারবেন না তাঁরা। প্রাথমিকভাবে প্যান-আধার সংযুক্তিকরণের শেষ তারিখ ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়।
বর্তমানে ঘরে বসেই প্যান ও আধারের সংযুক্তিকরণের কাজ করতে পারবেন। এর জন্য আয়কর দফতরের ই-ফাইলিং পোর্টালে লগ ইন করতে হবে তাঁদের। পোর্টালটির হোমপেজে রয়েছে ‘কুইক লিঙ্ক’ নামের একটি সেকশান। সেখানে ঢুকে লিঙ্ক আধার অপশানে ক্লিক করতে হবে গ্রাহককে।
লিঙ্ক আধারে গেলেই স্ক্রিনে ফুটে উঠবে একটা ফর্ম। সেটি খুব মনোযোগ দিয়ে পূরণ করতে হবে। ফর্মটির নির্দিষ্ট জায়গায় প্যান এবং আধার নম্বর লিখবেন গ্রাহক। এই দু’টি নম্বর লেখার সময়ে ভালভাবে দেখে নিতে হবে। নম্বর দু’টি ভুল লেখা হলে গোটা প্রক্রিয়াটাই বাতিল হতে পারে।
ফর্ম পূরণ হয়ে গেলে ‘কনটিনিউ টু পে থ্রু ই-পে ট্যাক্স’ অপশানে ক্লিক করতে হবে। এর পর ফের একবার গ্রাহকের প্যান নম্বর নির্দিষ্ট জায়গায় লিখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের নথিভুক্ত মোবাইল ফোন নম্বরে একটি ওটিপি আসবে। সেটি দিলে স্ক্রিনে ই-পে ট্যাক্সের পাতা খুলে যাবে।
এর পর ওই পেজেই একটি জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার চালান পাবেন গ্রাহক। সেটির মাধ্যমে হাজার টাকার জমা করতে হবে তাঁকে। টাকা জমা হয়ে গেলে প্যান-আধার সংযুক্তিকরণের কাজ শেষ হবে। এর পর ওই পোর্টালের আধার স্ট্যাটাসে গিয়ে সংযুক্তিকরণ হয়েছে কিনা, তা গ্রাহক দেখে নিতে পারবেন।