—প্রতীকী ছবি।
দেশের গ্রামাঞ্চলে কমেছে গরিবি। নতুন বছরের শুরুতেই চাঞ্চল্যকর গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে ভারতের গ্রামীণ এলাকায় গরিবির মাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪.৮৬ শতাংশ। ২০১১-’১২ অর্থবর্ষে এটি ২৫.৭ শতাংশ ছিল বলে এসবিআইয়ের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দাবি, সরকারি সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পগুলির জেরেই দেশের গরিবির সূচক নিম্নমুখী হয়েছে। গ্রামের পাশাপাশি শহরাঞ্চলের দারিদ্রের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০১১-’১২ আর্থিক বছরে শহরাঞ্চলে গরিবির পরিমাণ ছিল ১৩.৭ শতাংশ। গত আর্থিক বছরে (২০২৩-’২৪) সেটা ৪.০৯ শতাংশে নেমে আসে। গত ১২ বছরের নিরিখে যা সর্বনিম্ন।
এসবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রামের বাসিন্দারা সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা মোটের উপর পাচ্ছেন। এতে গ্রামাঞ্চলে গরিব মানুষের সংখ্যা অন্তত পাঁচ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি আমজনতার আর্থিক পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলছে। এতে সামগ্রিক ভাবে সংসার খরচ বেড়েছে।
সম্প্রতি গৃহস্থালির খরচ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক। সেখানে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে গ্রাম এবং শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদের খরচের ক্ষেত্রে বৈষম্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই খরচের মাত্রা কমেছে।
স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গৃহস্থালির সমীক্ষা রিপোর্টে ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে গ্রামাঞ্চলে গরিবের সংখ্যা ৪.৮৬ শতাংশ থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে সূচক ৪.০৯ শতাংশ থাকার ইঙ্গিত ছিল সেখানে। ২০১২ আর্থিক বছরে এই পরিসংখ্যান ছিল যথাক্রমে ২৫.৭ এবং ১৩.৭ শতাংশ। ২০২১ সালের জনগণনার রিপোর্ট হলে এই পরিসংখ্যানে ছোটখাটো সংশোধন হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে এসবিআই।
‘‘সংশোধনের পর শহরের গরিবির হার আরও কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সার্বিক ভাবে দেশের গরিবির হার চার থেকে সাড়ে চার শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। চরম দারিদ্র্যের ন্যূনতম অস্তিত্ব রয়েছে।’’ গবেষণা রিপোর্টে উল্লেখ করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক।