—প্রতীকী চিত্র।
আমেরিকা আমদানিকৃত সমস্ত ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপরে ২৫% শুল্ক বসিয়েছে। তখন থেকেই বাণিজ্য মহলের আশঙ্কা ছিল, চিন, জাপান,কোরিয়া, ভিয়েতনামের মতো বিভিন্ন দেশ থেকে সরবরাহ করা ওই দুই ধাতু পথ বদল করে ঢুকতে পারে ভারতে। আর সস্তার ধাতু দেশের বাজারে ঢুকে পড়লে দেশীয় সংস্থার সমস্যা। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, ঘটনাচক্রে সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন ইস্পাত পণ্যের আমদানি বেড়েছে। আজ কেন্দ্রীয় রাজস্ব দফতর জানাল, ইস্পাতের চাদর, পাত-সহ পাঁচ শ্রেণির ইস্পাত পণ্যের উপরে ১২% ‘সুরক্ষা শুল্ক’ বসিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রক। ওই মন্ত্রকের তদন্তকারী শাখা ডিজিটিআর-এর সুপারিশের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ। ২০০ দিনের জন্য এই শুল্ক কার্যকর করা হয়েছে।
আজ এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, টন প্রতি ৬৭৫ ডলার থেকে ৯৬৪ ডলার দামের ইস্পাত পণ্যের আমদানিতে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। দাম তার চেয়ে কম হলেই শুল্ক চাপানো হবে।
আজ আমেরিকা সফরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য ভারত সক্রিয় ভাবে আমেরিকার সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিক চুক্তি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলেতাঁর আশা।
অন্য দিকে চিনের অভিযোগ, হুমকির মাধ্যমে বৈঠকে টেনে এনে বিভিন্ন দেশকে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যে বিধিনিষেধ তৈরি করার জন্য চাপ দিচ্ছে ওয়াশিংটন। এ ব্যাপারে বেজিংয়েরও কড়া বার্তা, তাদের স্বার্থের বিনিময়ে কোনও দেশ আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করলে তা তারা মেনে নেবে না। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, দুই মহাশক্তিধর অর্থনীতির শুল্ক যুদ্ধের মাঝে পড়ে নাকাল হতে হবে ছোট দেশগুলিকে।