—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আদানি কাণ্ডে নতুন মোড়। বৃহস্পতিবার রাতে সুইৎজ়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের খবর উদ্ধৃত করে আমেরিকার শেয়ার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ দাবি করেছে, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ৩১ কোটি ডলার (প্রায় ২৬০০ কোটি টাকা) বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সুইৎজ়ারল্যান্ডের ছ’টি ব্যাঙ্কের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে থাকা ওই অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে ওই দেশের কর্তৃপক্ষ। আজ, শুক্রবার শেয়ার বাজারে এর কোনও প্রভাব পড়ে কি না, সে দিকে তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০২১ সালে বেআইনি ভাবে শেয়ার ও অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত এক তদন্তের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ সুইস কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, গৌতম আদানির শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এক ব্যক্তি ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, মরিশাস এবং বারমুডার আর্থিক সংস্থায় পুঁজি ঢেলেছিলেন। সেই সংস্থাগুলি প্রায় পুরো টাকাই লগ্নি করেছিল আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিতে। সেই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই তদন্ত অবশ্য হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের অনেক আগের ঘটনা।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার হিন্ডেনবার্গ প্রশ্ন তুলেছে, একের পর এক অভিযোগ সত্ত্বেও বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির প্রধান মাধবী পুরী বুচ ‘সম্পূর্ণ নিশ্চুপ’ কেন? গত মাসে তারা নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি করে, যে বিদেশি তহবিল বেআইনি ভাবে আদানিদের সংস্থাগুলিতে লগ্নি করেছিল, সেখানে বিনিয়োগ ছিল মাধবীর। যা আদানি কাণ্ডের তদন্ত ‘শ্লথ’ হওয়ার কারণ হয়ে থাকতে পারে। এক্স-এ হিন্ডেনবার্গ লিখেছে, ‘‘সেবি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন সংস্থার থেকে বেসরকারি একটি পরামর্শদাতা সংস্থা টাকা নিয়েছে। সেই সংস্থায় সেবি প্রধান মাধবীর অংশীদারি ৯৯%। তিনি সেবির পূর্ণ সময়ের সদস্য থাকাকালীনই তা ঘটেছে। ওই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ডক্টর রেড্ডিস এবং পিডিলাইট।...এত অভিযোগ ওঠে সত্ত্বেও বুচ সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করে চলেছেন।’’