শনিবার ইনফোকমে অরূপ বিশ্বাস এবং বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র
শিল্প-বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো বিদ্যুৎ। আর সেই বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের উন্নয়নে নানা সংস্কার ও পদক্ষেপের দাবি করে শনিবার ইনফোকমের মঞ্চ থেকে শিল্পমহলকে এ রাজ্যে লগ্নির আহ্বান জানালেন সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পশ্চিমবঙ্গই ভবিষ্যতে ব্যবসার গন্তব্য বলে দাবি করে তাঁর বার্তা, ধারাবাহিক ও সকলের উন্নয়নের জন্য সরকার সাধ্যের মধ্যে ক্রেতাদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ জোগানে দায়বদ্ধ। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও ওই দুই ক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে নানা পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়ে বিনিয়োগের আর্জি জানালেন।
এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের এই সম্মেলনের এ বারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘পরিবর্তনের কান্ডারিদের যুগ’। সম্মেলনের শেষ দিনে কার্যত তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যেও পরিবর্তনের খতিয়ান তুলে ধরেন মন্ত্রীরা।
শিল্পের অন্যতম চাহিদা নিরবচ্ছিন্ন ও উন্নত মানের বিদ্যুৎ পরিষেবা। সে প্রসঙ্গে পূর্বতন বাম সরকারকে কটাক্ষ করে অরূপ এ দিন বলেন, ‘‘তারা প্রাথমিক শিক্ষায় ইংরেজি নিষিদ্ধ করলেও একটি ইংরেজি শব্দ— লোডশেডিং ছিল জনপ্রিয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লোডশেডিং এখন অতীত।’’ আগামী দিনে রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরও বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তাঁর বার্তা, সাগরদিঘি, বক্রেশ্বর ও সাঁওতালডিহিতে মোট প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াটের নতুন তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালু হবে। গ্রিন হাইড্রোজেন প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র এ রাজ্যকে চিহ্নিত করার পরে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম দুর্গাপুরে সেই কেন্দ্র গড়বে। তার আগে পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁদের আমলে রাজ্যে বিদ্যুতের পরিষেবা ও পরিকাঠামোর উন্নতির দাবি করে এমন ‘উজ্জ্বল’ বাংলায় লগ্নির আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও বিগত কয়েক বছরে রাজ্যে উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্মাণের দাবি করে বাবুলের বক্তব্য, নৈহাটির মতো আইটি পার্কে সস্তায় দমি দেওয়া হচ্ছে লগ্নিকারীদের। আগামী এক বছরে আইটি পার্কগুলিতে আরও বদল আসবে। রাজ্যের পর্যটনের সম্ভার তুলে ধরতে আগ্রহীদের মোবাইলে লিঙ্ক পাঠানোর পরিকল্পনাও করছেন তাঁরা। যেখান থেকে যাবতীয় তথ্য মুঠোফোনে চলে আসবে।
বাঙালিদের ব্যবসা হয় না, এই ‘মিথ’ ভাঙার সময় এসেছে বলে দাবি বাবুলের। তাঁর বক্তব্য, তথ্যেই স্পষ্ট যে, দেশে-বিদেশে বহু বাঙালি সফল ভাবে ব্যবসা করছেন। সেই সঙ্গে দেশের বর্ষীয়ান শিল্পকর্তা রতন টাটার প্রসঙ্গ তুলে শিল্পমহলের কাছে বাবুলের আর্জি, টাটার মতো অন্যান্য সফল সংস্থাও এ রাজ্যের স্টার্ট-আপে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুক।