Market Price

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতেই রোজগার শেষ! কম আয়ের মানুষদের জন্য পদক্ষেপ কেন্দ্রের

খাদ্যপণ্যের চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ অনেক দিন ধরে জেরবার। অত্যাবশ্যক জিনিসপত্র কিনতেই অধিকাংশের রোজগার শেষ হচ্ছে। ফলে শখের কেনাকাটা কার্যত বন্ধ।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:০৭

— প্রতীকী চিত্র।

গত বছরের অক্টোবরে ‘ভারত ব্র্যান্ড’-এর নামে কম দামে চাল ও আটা বিক্রি করেছিল কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক। মঙ্গলবার সেই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন করলেন খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সরকারি গুদাম থেকে খোলা বাজারে শস্য বিক্রি করে সেগুলির দাম নিয়ন্ত্রণে আনাই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এ দিকে সরকারের আশা, এই খরিফ মরসুমে গত বছরের তুলনায় চালের উৎপাদন অনেকটা বেশি হবে। ফলে সব মিলিয়ে বাজারে পণ্যগুলির সরবরাহ বাড়বে।

Advertisement

খাদ্যপণ্যের চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ অনেক দিন ধরে জেরবার। অত্যাবশ্যক জিনিসপত্র কিনতেই অধিকাংশের রোজগার শেষ হচ্ছে। ফলে শখের কেনাকাটা কার্যত বন্ধ। এই অবস্থায় কেন্দ্রের উদ্যোগে বিশেষত নিচু আয়ের মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন অনেকে। পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রকের আশা, ভাল বর্ষার কারণে ২০২৪-২৫ খরিফ মরসুমে প্রায় ১২ কোটি টন চাল উৎপাদন হতে পারে। তার ফলে সব মিলিয়ে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়লে তার দামও কমবে। তবে একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশবাসীর দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে আনাজ। সরকার দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কিয়স্ক করে টোম্যাটো, পেঁয়াজ-সহ আনাজ বিক্রি করেও মূল্যবৃদ্ধিকে বিশেষ আয়ত্তে আনতে পারেনি। ফলে ভর্তুকিতে শুধু চাল এবং আটা বিক্রি করে সামগ্রিক ভাবে দামের ঝাঁঝ কতটা নিয়ন্ত্রণে আসবে, সে ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

গত বার ৫ কেজি এবং ১০ কেজির বস্তায় চাল ও আটা বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে ২৯ টাকা এবং ২৭.৫ টাকা কেজিতে। এ বছর দাম কিছুটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ টাকা। এর জন্য খাদ্য নিগমের (এফসিআই) গুদাম থেকে ২.৯১ লক্ষ টন চাল এবং ৩.৬৯ লক্ষ টন গম বরাদ্দ করা হয়েছে। বিক্রি হবে সরকারি সমবায় এনসিসিএফ এবং নাফেডের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় ভান্ডার এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকেও এই সমস্ত পণ্য কেনা যাবে। ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে ‘প্রাইস স্টেবিলাইজ়েশন ফান্ডের’ (দাম স্থিতিশীল করার তহবিল) সাহায্যে। এ দিন পণ্য বিক্রির জন্য সমবায়ের মোবাইল ভ্যানের উদ্বোধন করে জোশী বলেন, ‘‘ক্রেতাদের সুরাহা দিতে এটি সাময়িক হস্তক্ষেপ। বরাদ্দ করা শস্য শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রকল্প চলবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement