প্রতীকী ছবি।
পুজো শেষ, উৎসবের মোহ কাটিয়ে আবার দৈনন্দিন জীবনে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে। আবার ব্যস্ততার জীবনে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের উপর চাপ পড়া স্বাভাবিক। উৎসবের অজুহাত দিয়ে দিনের পর দিন ভালমন্দ খেয়েছেন, তার প্রভাব শরীরে দেখা দিতেই পারে। তাই উৎসবের শেষে এই সব বাড়তি ক্যালোরি এবং ফ্যাট দ্রুত ঝেড়ে ফেলা অত্যন্ত জরুরি।
নিয়মিত যোগাসন সব সময়েই শরীরের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত চলাচলের মাত্রা আরও ভাল করার জন্য যোগাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চতুরঙ্গ দণ্ডাসন
ঠিক মতো করতে পারলে, এই আসন শরীরের পেশির গঠনের জন্য কার্যকর হতে পারে। শরীরের একাধিক পেশির ব্যবহার হওয়ার ফলে জমে থাকা বাড়তি ক্যালোরি সহজেই কাজে লাগানো যায়।
অধ-মুখ স্বনাসন
জমে থাকা ক্যালোরির সদ্ব্যবহারের পাশাপাশি শরীরের ধকল দূর করার জন্যেও এই আসন নিয়মিত অভ্যাস করা যেতে পারে। এ ছাড়াও, ঋতুস্রাবের সময়ে শারীরিক অস্বস্তির মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রেও এই আসন সাহায্য করে।
সর্বাঙ্গাসন
শরীরের প্রায় সব পেশির ব্যবহার করার ফলে এর মতো কার্যকর আসন খুব একটা নেই। বাড়তি ফ্যাট ঝেড়ে ফেলা ছাড়াও বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রেও এই আসন সাহায্য করতে পারে।
সূর্যনমস্কার
হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতার জন্য এই আসন অত্যন্ত কার্যকর। প্রতি সকালে খালি পেটে এই আসন করলে রক্ত চলাচলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই আসন ওজন কমানো বা ক্যালোরি ঝরানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।