পুজোর গোটা মাস জুড়ে শরীরচর্চাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার খাওয়াদাওয়া, অনিয়ম! ভাইফোঁটা পর্ব শেষ হতেই এ বার কি অপরাধবোধে ভুগছেন? ওজন তো বেড়েছেই, ভাবছেন তো বড়দিনের আগে এই বাড়তি ওজন কী ভাবে ঝরাবেন?
ইন্টারনেটে ইতিউতি উত্তর খুঁজে লাভ নেই, বরং বাড়িতেই আছে সমাধান! রোজকার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মশলা, কাঁচা হলুদেই হবে কেল্লাফতে।
হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে ভিতর থেকে করে তোলে টক্সিনমুক্ত।
প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান এক টুকরো কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে না ভাল লাগে না? কুছ পরোয়া নেই। আরও একাধিক ভাবে খাওয়া যেতে পারে হলুদ।
হলুদ এবং আমলার জুস- একটি ব্লেন্ডিং পাত্রে আমলকি, হলুদ এবং আদা বেটে তার রস ভাল ভাবে ছেঁকে নিন। তাতে সামান্য মোরিঙ্গা পাউডার অর্থাৎ সজনে পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে এক ঢোকে পান করে নিন খালি পেটে। ফল পাবেন খুব শীঘ্রই।
হলুদ দুধ- এ ভাবেও পানীয় হিসেবে হলুদ প্রতিদিন খাওয়া যায়। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ দুধে এক চিমটে হলুদ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সঙ্গে যদি কিছুটা মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন, তা হবে আরও উপকারী।
হলুদ চা- জল যখনই ফুটতে শুরু করবে, তার মধ্যে দিয়ে দিন একটি ছোট আদার টুকরো এবং এক চিমটে হলুদ। ভাল করে ফুটিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এর পরে নামানোর সময়ে সামান্য কিছুটা মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস! ব্যস, শরীরে কাজ করবে ঝটপট।
স্মুদি- স্মুদি খেতে কার না ভাল লাগে! যদি সেটা সুস্বাদু হওয়ার সঙ্গে হয় স্বাস্থ্যকরও, তা হলে তো কথাই নেই। একটি ব্লেন্ডিং পাত্রে আপনার পছন্দমতো ফল যেমন কলা কিংবা আনারস রাখুন। সঙ্গে দিন এক টুকরো কাঁচা হলুদ। আর সেই সঙ্গে টক দই এবং যদি ঘরে থাকে, তা হলে আমন্ড বাদামের দুধও মিশিয়ে নিতে পারে। সব মিলিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন এবং পান করুন স্মুদি হিসেবে। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য— দুই-ই ভাল হবে।
স্যালাডের সঙ্গে ডিপ- কাঁচা স্যালাডের সঙ্গে মুখরোচক ডিপ খুঁজছেন? তা আবার পুষ্টিকরও হতে হবে? তা হলে শুনুন, গ্রিক ইয়োগার্টের সঙ্গে সামান্য হলুদ, কিছুটা লেবুর রস এবং পছন্দসই হার্বস মিশিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যস, আপনার ডিপ তৈরি!
আচার- হলুদ দিয়ে তৈরি করতে পারবেন টক-ঝাল আচারও। কাঁচা হলুদ গ্রেট করে একটি পাত্রে রাখুন। সঙ্গে মেশান স্বাদমতো নুন, কাঁচা লঙ্কা, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, সেদ্ধ আমলকি, সরষের দানা। সবশেষে তেল গরম করে ঢেলে দিন তাতে। মিশিয়ে নিন এবং যে কোনও খাবারের সঙ্গে উপভোগ করুন এটি। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।