মুর্গ মোতি পোলাও।
পুজো, পেটপুজো আর পোলাও— বাঙালির প্রাণের উৎসবে এই তিন ‘প’-এর সম্পর্ক অচ্ছেদ্য। বনেদি বাড়ির পুজো এবং পেটপুজোতে পোলাওয়ের একটা বড়সড় ভূমিকা রয়েছে। অষ্টমীতে পাতে খাসির মাংসের সঙ্গে বাসন্তী পোলাও না পড়লে পুজোটা ঠিক জমে না যেন! কিন্তু বাসন্তী পোলাও তো অনেকই খেলেন। নবমীতে মাটনের বিশেষ পদের সঙ্গে মুর্গ মোতি পোলাও বানিয়ে দেখুন তো। স্বাদ ভুলতে পারবেন না! দেখে নিন ভিন্ন স্বাদের পোলাওয়ের এই রেসিপি।
মুর্গ মোতি পোলাও
উপকরণ:
বাসমতি চাল: ৪০০ গ্রাম
চিকেন কিমা: ৩০০ গ্রাম
ডিম: ১ টা
পেঁয়াজ কুচি: ১/২ কাপ
ধনেপাতা কুচি: ১/২ কাপ
পেঁয়াজ বাটা: ১ চা চামচ
আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
ময়দা: ৪ টেবিল চামচ
বেসন: ১ কাপ
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
এলাচ: ৪টি
লবঙ্গ: ৪টি
কাঠবাদাম: ৪টি
দারচিনি: ২ টুকরো
তেজপাতা: ১ টা
ঘি: ১/২ কাপ
সাদা তেল: ২ টেবিল চামচ
কমলালেবুর রস: ১ কাপ
নুন স্বাদমতো
চিনি স্বাদমতো
প্রণালী:
বাসমতি চাল জলে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এবার একটি পাত্রে চিকেন কিমা, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, অল্প আদা বাটা, অল্প রসুন বাটা, ময়দা, বেসন, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো ভাল করে মাখিয়ে নিন। তারপর ডিম ফেটিয়ে এর মধ্যে দিয়ে আরও একবার ভাল করে মাখান। এবার মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট বলের আকার দিন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে এই বলগুলি ডিপ ফ্রাই করুন। ভাজা হয়ে গেলে তুলে রাখুন। এবার কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাটা, বাকি আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে কষতে থাকুন। এবার বলগুলি এর মধ্যে দিয়ে কষান। মশলাটা বলের গায়ে মেখে এলে কড়াই থেকে নামিয়ে নিন। এবার অন্যদিকে একটি হাঁড়িতে জল নিয়ে তাতে লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও কাঠবাদাম দিয়ে জল ফুটতে দিন। জল ফুটে গেলে তাতে চাল দিন। চাল অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে এলে বার করে ঠান্ডা জল ছড়িয়ে রাখুন। এতে পোলাও ঝরঝরে হবে। এবার কড়াইতে সাদা তেল ও ঘি গরম করে তার মধ্যে এই আধসেদ্ধ চালটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। স্বাদমতো চিনি ও নুন দিয়ে দিন। এবার হাঁড়িতে পুরো চালটা দিয়ে দিন। উপর থেকে খানিকটা কমলালেবুর রস ছড়িয়ে দিন। হাঁড়ি চাপা দিয়ে একটু দমে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ঢাকা খুলে চিকেনের বলগুলি ভাতের মধ্যে মেশাতে থাকুন। আবারও দমে বসান। হয়ে গেলে উপরে ধনেপাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।