অনেক শিশুই মার্শমেলো খেতে পছন্দ করে। কিন্তু বড়দেরও যে মার্শমেলো নিয়ে এমন প্রেম থাকতে পারে, আর তা যে এমন বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে— তা কে জানত!
এক সময়ে মার্শমেলোর ওপর চকোলেটের কোটিং দিয়ে বিক্রি করা হত ইংল্যান্ডে। ১৯৪০ সাল নাগাদ এটি রীতিমতো জনপ্রিয় হয়েছিল খাবার হিসাবে। কিন্তু বিষয়টি অন্য একটি কারণে মজার বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। তা-ও আবার বিমানচালকদের কাছে।
ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএএফ)-এর সেনাদের খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছিল ফয়েলে করা এই চকোলেট কোটেড মার্শমেলো। তা নিয়েই বিমানে চাপতেন তাঁরা।
১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় বাতাসের চাপ অনেকটাই কমে যায়। ফলে সেখানে গিয়ে এই মার্শমেলো ফুলে ঢোল হয়ে যেত।
যে খাবারটি দু’আঙুলে মুখের মধ্যে চলে আসে, তা এতটাই ফুলে যেত যে, দু’-চার কামড়েও শেষ করা যেত না!
ক্রমে এটি হয়ে দাঁড়ায় প্লেনের অন্দরের একটা মজার বিষয়। দিব্যি চলছিল এ সব। কিন্তু বাদ সাধল ১৯৬৫ সালের একটি ঘটনা।
একটি ছোট্ট বিমান চালাচ্ছিলেন এক শিক্ষক এবং তাঁর ছাত্র। তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন, যন্ত্রপাতির উপরে রাখা আছে খাবারের বাক্সটি।
যে মুহূর্তে ক্যাপ্টেন ইমার্জেন্সি বোতাম টিপেছেন, সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের চাপের তারতম্যে সেই খাবারের প্যাকেটের মার্শমেলো গেল ফেটে। চকোলেট গোটা বিমানের কাচে লেপ্টে একাকার অবস্থা! কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচেন তাঁরাও।
তার পর থেকেই বিমানে এই বিশেষ খাবারটি নিয়ে ওঠা বারণ হয়ে যায়। শেষ হয় রয়্যাল এয়ার ফোর্সের সেনাকর্মীদের এই খাবার নিয়ে প্রেম-পর্বও। তবে খাদ্যরসিকদের কাছে আজও এক সুস্বাদু বিস্ময় এই চকোলেট কোটেড মার্শমেলো। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।