বাহারি নকশার কুর্তায় ঈশান খট্টর।
বছরভর পছন্দের পোশাক বলতে ডেনিম আর টি-শার্ট। সেটা টিউশনি পড়তে যাওয়াই হোক বা আত্মীয়ের বাড়ি, এই পোশাকের বাইরে বেরোতে খুব একটা পছন্দ করে না কিশোররা! কিন্তু দুর্গাপুজোর ব্যাপারটাই আলাদা। সারা বছর জামাকাপড় পরা নিয়ে যে ছেলেটা খুব একটা ভাবে না, সেই-ই পুজোর আগে কী ধরনের পোশাক বাছবে, এটা নিয়ে বেশ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। হবে নাই বা কেন। পুজোর সাজ মানেই যে একটা অভিনব ব্যাপার! কী ভাবে সাজাবেন নিজেকে?
১) সারা বছর ডেনিম-টি শার্ট পরলেও পুজোর সময় পাঞ্জাবি পরবেন না তাও কি হয়? পরতে পারেন হাল্কা কাঁথাস্টিচের কাজ করা সুতির পাঞ্জাবি, সঙ্গে সাদা পায়জামা। এটা একেবারেই কোনও না কোনও পুজোর দিনের সকালের সাজ হতে পারে। তবে যদি পুজোর সন্ধ্যাতে পাঞ্জাবি পরতে চান, তা হলে অবশ্যই সিল্ক বা র’ সিল্কের পাঞ্জাবি বাছুন। এখন সিল্কের উপর নানা প্রিটেন্ড ফ্যাশনের পাঞ্জাবিরও বেশ চল হয়েছে।
২) অষ্টমীতে চিরাচরিত বাঙালি সাজে নিজেকে সাজাতে চান? তসরের পাঞ্জাবির সঙ্গে পরুন ধুতি। ধুতি পরতে না জানলেও কোনও অসুবিধে নেই, এখন বাজারে স্টিচ-করা ধুতি পাওয়া যায়। তবে হাল্কা রঙের পাঞ্জাবি পরলে কনট্রাস্টের জন্য গাঢ় রঙের ধুতি পরুন।
৩) পুজোর একদিন পছন্দের ডেনিম পরতে ইচ্ছে করছে? ডেনিমের সঙ্গে পরার জন্য একটু অন্য ধরনের শার্ট কিনুন। আজরক প্রিন্ট এখন ফ্যাশনদুনিয়া কাঁপাচ্ছে। তাই এই প্রিন্টের শার্ট পরতে পারেন। সবমিলিয়ে একটা ইন্দো-ওয়েস্টার্ন লুক আসবে। আবার চেক শার্টও কিনতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কলার বা কাটিংয়ের ক্ষেত্রে একটু বৈচিত্র থাকলে ভাল লাগবে।
৪) লম্বা ঝুলের পাঞ্জাবি পছন্দ নয়? শর্ট কুর্তাও পরতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে সাধারণ পাজামা না পরে পরতে পারেন হারেম প্যান্ট। সিল্কের কুর্তা আর হারেম প্যান্টে একটা এথনিক লুক তৈরি হবে। কুর্তার উপর পরতে পারেন হাফ হাতা কোট।