পুজো এলেই ঝলমলিয়ে ওঠে টলিপাড়া। শাড়ি জিতে যায় বার বার। সঙ্গে যদি থাকে চোখধাঁধানো ব্লাউজ— তা হলে তো কথাই নেই। পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। নতুন ধুতি পাঞ্জাবিতে সমানে সমানে টক্কর!
পুজোর দিনে মিমির রঙিন দক্ষিণী সিল্কের শাড়ি রাঙিয়ে দিল চারপাশ। সঙ্গে সরু হাতকাটা ব্লাউজ আর মানানসই দক্ষিণী গয়না। তবে মিমিকে বাকিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে দিল তাঁর ঝলমলে হাসির ফোয়ারা।
লাল-সাদার আবেদন চিরন্তন। সে পথেই হেঁটেছেন সৌরসেনী। রুপোর বড় ঝুমকো এবং রহস্যময়ী হাসি। তারার ছুটে অনেককেই টেক্কা দিলেন কন্যে।
হাল্কা শা়ড়িতেই কী ভাবে তাক লাগিয়ে দিতে হয়? সে পাঠ পড়িয়ে দিতে পারেন প্রিয়ঙ্কা। স্নিগ্ধ গোলাপি শাড়ির সঙ্গে তেমন চড়া মেকআপও করেননি। বাজিমাত একটিমাত্র কুন্দনের গলার হারেই। তাতেই তিনি নজরকাড়া।
লাল বেনারসী শুধু কি কনেদের জন্যই? সেই ধারণা উড়িয়েই কৌশানী সেজে উঠলেন পুজোর দিনে। সঙ্গে কালচে-সোনালি ভারী গয়না। পোশাক-গয়না মিলিয়ে বেশ জমকালো। ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটে হাল্কা রং। যত্নে বেঁধেছেন চুলও।
তনুশ্রীও বেছে নিয়েছেন লাল বেনারসী। সঙ্গে ভারী গয়না। পুজোর দিনের তুলনায় একটু বেশিই ভারী হয়ে গিয়েছে সাজ। তবে তনুশ্রীকে দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারেন নববধূরা।
ছিমছাম সাজই যাঁদের পছন্দ, তাঁদের মন জয় করে ফেললেন শ্রাবন্তী। কানে-গলায় হাল ফ্যাশনের হাল্কা গয়না। সোনালি-রুপোলি জরি মেশানো শাড়ি শারদ-সাজে বেশ মানানসই।
তসর সিল্ক আর হাতকাটা লাল ব্লাউজ— বরাবরের মতোই সাজ নিয়ে সচেতন অনিন্দিতা। মানানসই গয়না, টানটান করে বাঁধা চুল আর কপালে ছোট্ট টিপ! অনিন্দিতার সাজ টেক্কা দিতে পারে অনেকের জমকালো বাছাইকেই।
শাড়ির ভিড়ে সালোয়ার বেশ খানিকটাই যেন পিছিয়ে পড়ে পুজোর দিনে। তবে লাল কারুকাজ করা সালোয়ার হলে চোখ টানবে অবশ্যই। সেই পথেই হাঁটলেন ঋতাভরী।
পুজোর সাজে টলিপাড়ার বঙ্গনারীদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পেরেছেন এক জন পুরুষই। আবীর। সাদা কারুকাজ করা পাঞ্জাবির সঙ্গে লাল ধুতি। নিখাদ বাঙালিয়ানা!
হলুদ সিল্কের শাড়ি আর সাদা ব্লাউজে মণ্ডপে হাজির পাওলি। সঙ্গে মানানসই সোনার গয়না। এক ঢাল খোলা চুল আর কাজল-কালো চোখের চাউনিতেই ঘায়েল কতশত জনতা!
ইন্দ্রাণী দত্তর বাড়ির পুজোয় ঋতপর্ণা সেনগুপ্ত। সঙ্গে ইন্দ্রাণী-কন্যা রাজনন্দিনী। পুজোর সাজে ঝলমলে তিন কন্যে।