গাজা-যুদ্ধে সাময়িক বিরতি কাটিয়ে ফের শুরু গোলাবর্ষণ। তার পাশাপাশি হামাসের রসদপথ বন্ধ করতে ইজরায়েল আজ গাজায় স্থলসেনাকেও নামিয়েছে। তার আগে আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব মেনে স্থানীয় সময় সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত গাজায় হামলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। যদিও রণে ভঙ্গ দেয়নি প্যালেস্তাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। হামলার পাশাপাশি আজ সুড়ঙ্গ কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে হামাসের সশস্ত্র বাহিনীর ১৩ সদস্য। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরে ওই সব সুড়ঙ্গ বন্ধ করার জন্যই হামলা শুরু করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েলি সেনা।
ইজরায়েল সেনা সূত্রের খবর, আজ সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার অব্যবহিত পরেই দক্ষিণ ইজরায়েলে বেশ কয়েক বার হামলা চালিয়েছে হামাস। প্রত্যুত্তরে ইজরায়েল প্রশাসন জানিয়েছে, জঙ্গিরা যদি এই সংঘর্ষ বিরতির সুযোগ নেয়, তবে তার যোগ্য জবাব দেবে তারা। যদিও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত গাজায় নতুন করে কোনও হামলার খবর পাওয়া যায়নি।
সাধারণ মানুষ যাতে খাবার এবং ওষুুধ মজুত করতে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন, সে জন্যই রাষ্ট্রপুঞ্জের এই বিরতির প্রস্তাব। আজ দিনভর হামলা বন্ধ থাকলেও শুনসান ছিল গাজার রাস্তাঘাট। খোলেনি দোকান বাজারও। তবে বেশ কয়েকটি স্থানীয় ব্যাঙ্ক খোলা ছিল। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষ শুরুর পরে এই প্রথম গাজায় ব্যাঙ্কের দরজা খুলল।
প্যালেস্তাইনের প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৫-এ পৌঁছেছে। আহত কয়েক হাজার। এদিনের সংঘষর্র্ বিরতির আগে হামাসের ২৩ জন সশস্ত্র জঙ্গি সুড়ঙ্গ কেটে ইজরায়েলের কিব্বুতজ প্রদেশে ঢুকে পড়ে। তাদের নিরস্ত্র করতে ওই এলাকায় বিমান থেকে একটানা বোমা বর্ষণ করে ইজরায়েলি সেনা। যদিও বিমান হামলায় ওই জঙ্গিদের মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত কোনও তথ্য দিতে পারেনি সেনা। তবে ওই সুড়ঙ্গের আশপাশের বাসিন্দাদের যত দ্রুত সম্ভব এলাকা খালি করে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।