ধর্ম-রাজ্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে এ বার এক মার্কিন ত্রাণকর্মী-সহ ১৮ জন সিরিয়ার সেনার মুণ্ডচ্ছেদ করল জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া)।
সিরিয়ায় অপহৃত ২৯ বছরের পিটার ক্যাসিগ এবং আরও ১৮ জন সেনার মুণ্ডচ্ছেদের ভিডিও আজ সকালে ইন্টারনেটে আপলোড করে জঙ্গিরা। ভিডিওতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বার্তা দিতেও ভোলেনি আপাদমস্তক কালো কাপড়ে ঢাকা জঙ্গি। পিটারকে খুন করার পরে ওই জঙ্গি বলেন, “আমেরিকার নাগরিক পিটার এডওয়ার্ড কাসিগ নামের এই বিদ্রোহীকে আমরা দাবিকের মাটিতেই কবর দিচ্ছি। এ বার মার্কিন সেনার পা রাখার অপেক্ষায় রইলাম।” সম্প্রতি প্রকাশিত একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে ওবামাকে মিথ্যাবাদী বলে তোপ দেগেছিলেন আইএস-নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। আজকের ভিডিওতে একেবারে সেই কায়দাতেই ওবামাকে রীতিমতো হুমকি দেয় হত্যাকারী জঙ্গি। তার কথায়, “ চার বছর আগেই নাকি ইরাক থেকে মার্কিন সেনাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ওবামা, তুমি মিথ্যাবাদী। তোমার সেনারা এখনও এখানে মুখ লুকিয়ে বসে আছে। আমরা জানি, তুমি আবার আসরে নামবে। আগের থেকে বেশি সেনা নিয়ে আসবে এ বার। আমরাও তৈরি।”
প্রাক্তন মার্কিন সেনা পিটার গৃহযুদ্ধে দীর্ণ সিরিয়ায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী আলেন হেনিংয়ের মুণ্ডচ্ছেদের ভিডিওতেও পিটারকে প্রকাশ্যে এনেছিল জঙ্গিরা। জানিয়েছিল, আমেরিকা হামলা বন্ধ না করলে পিটার-সহ বাকি বন্দিদেরও মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে। আজকের ভিডিওতে পিটারের মুণ্ডচ্ছেদের পরে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে বাকি ১৮ জনের মাথা কাটার দৃশ্যও রেকর্ড করেছে জঙ্গিরা।
ভিডিও প্রকাশ করার পরে পিটার-হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছে আইএসআইএস। তবে পিটারের মৃত্যুর খবরের সত্যতা এখনও স্বীকার করেনি পেন্টাগন। আজ মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা ওই ভিডিও-র কথা জানি। তবে ওই ঘটনা আদৌ সত্যি কি না, তা জানতে কাজে নেমে পড়েছেন গোয়েন্দারা।” ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ তিনি।