আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (বাঁ দিকে)। এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
চলতি মাসের ২১ তারিখেই তিন দিনের সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি, আমেরিকার সংসদের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন মোদী। যোগ দেবেন বাইডেন এবং তাঁর পত্নী জিল বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজের আসরেও। বাইডেন প্রশাসন সূত্রের খবর, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমেরিকার সংসদে দ্বিতীয় বারের জন্য বক্তব্য রাখবেন মোদী। মোদীর সঙ্গে বাইডেনের আলোচনায় কোন বিষয়গুলি অগ্রাধিকার পাবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বাইডেন প্রশাসনের প্রেস সচিব ক্যারিন জাঁ পিঁয়ের জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে বোঝাপড়াকে আরও জোরদার করার জন্য, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাকে অবাধ এবং মুক্ত রাখার জন্য আলোচনায় বসবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এ ছাড়াও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র নিয়েও বাইডেন এবং মোদী আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।
ক্যারিনের কথায়, “ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ এবং মুক্ত রাখার উদ্দেশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার বিষয়ে তো বটেই, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়কেও আলোচনায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এখনই তার পক্ষে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। আমেরিকা এবং ভারতের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ক্যারিন বলেন, “ভারত আর আমেরিকা এমনই বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ যে, মনে হয় ভারতীয় এবং আমেরিকানরা একসঙ্গেই আছেন।”
বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একাধিক কারণে মোদী এবং বাইডেনের বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতের ‘নিরপেক্ষ’ ভূমিকায় এবং ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে যাওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি নয় আমেরিকা। আবার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন রুখতে ভারতকে প্রয়োজন আমেরিকার। জি৭ বৈঠকে ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া— কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সাক্ষাৎ হয়। সেই সাক্ষাতের পর আবারও বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদী।