প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হয়ে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট সি ও’ব্রায়েনের থেকে ‘লিজন অব মেরিট’ গ্রহণ সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূত তরণজিৎ সিংহ সাঁধুর। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে। পিটিআই
গদি ছাড়ার আগে ‘বিশেষ বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদীকে পুরস্কৃত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত কাল দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘লিজন অব মেরিট’-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ভূষিত করেছে আমেরিকার সরকার। হোয়াইট হাউসে নরেন্দ্র মোদীর হয়ে পুরস্কারটি নেন আমেরিকায় ভারতের দূত তরণজিৎ সিংহ সাঁধু। তাঁর হাতে স্মারক তুলে দেন বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট সি ও’ব্রায়েন।
মোদী-ট্রাম্প বিশেষ রসায়নের কথা অজানা নয়। গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমেরিকার মাটিতে আয়োজিত ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠান প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এ বছরের গোড়ায় ট্রাম্প ভারতে গেলে তাঁর জন্য মোদী আয়োজন করেন ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের। পুরস্কার নিয়ে আমেরিকান প্রশাসনের বিবৃতিতেও সেই বিশেষ সম্পর্কের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘ভারত-আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার অবদান হিসেবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মানে ভূষিত করছেন’। সেই সঙ্গেই বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে ভারতের উত্থানে মোদীর অটল নেতৃত্ব ও সদর্থক ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আজ টুইট করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। লিখেছেন, ‘‘এই পুরস্কার আর সম্মানই দু’দেশের সম্পর্কের দৃঢ়তার প্রমাণ।’’
মোদীর সঙ্গেই এই সম্মান পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। প্রশান্ত মহাসাগরে চিনের একক আধিপত্য খর্ব করতে এবং ওই এলাকার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-জাপানের সঙ্গে কোয়াড গঠন করেছে আমেরিকা। মূলত এই কাজে নিজের তিন সঙ্গী দেশের প্রধানকেই এই সম্মান দিল ট্রাম্প প্রশাসন। জাপান আর অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতেরাও সাঁধুর সঙ্গে এই পুরস্কার নিয়েছেন।
১৯৪২ সালে দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ‘লিজন অব মেরিট’ দেওয়ার প্রথা শুরু করেছিলেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজ়ভেল্ট। পরে বিদেশি সেনা বাহিনীর সদস্য এবং অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও এই সম্মান দেওয়া শুরু হয়। ১৯৪৯ সালে আর এক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যানের কাছ থেকে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন ভারতীয় ফিল্ড মার্শাল কে এম কারিয়াপ্পা।