Israel Gaza War

ইজ়রায়েলি হানায় ত্রাণকর্মী-সহ নিহত ২৩, বিপাকে আসাদও

শুধু হামলা নয়, ইজ়রায়েলি ঘেরাটোপে গাজ়ায় কার্যত দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি। দ্য গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস (জিএমও) জানিয়েছে, গাজ়ায় খাদ্যেসঙ্কট ভয়ঙ্কর পর্যায়ে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৫
Share:

ইজ়রায়েলের হানায় জখম বালিকা। গাজ়া সিটি। ছবি রয়টার্স।

ভোর হতেই ভয়ানক হামলা। ইজ়রায়েলি সেনার আক্রমণে আজ গাজ়া স্ট্রিপে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ত্রাণকর্মী কমপক্ষে তিন জন। তাঁরা দ্য ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে)-এ কর্মরত ছিলেন। খান ইউনিসে তাঁদের উপরে হামলা চলে। সেখানে মোট নিহতের সংখ্যা সাত। এ ছাড়া কয়েক জন আহত হয়েছেন সেখানে। ওই ত্রাণকর্মীরা একটি গাড়িতে ছিলেন। তাঁদের উপরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। পরে উদ্ধারকারী দলের উপরেও চলে হামলা। গত এপ্রিলেও ইজ়রায়েলি হামলায় নিহত হয়েছিলেন ডব্লিউসিকে-র চার কর্মী।

Advertisement

শুধু হামলা নয়, ইজ়রায়েলি ঘেরাটোপে গাজ়ায় কার্যত দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি। দ্য গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস (জিএমও) জানিয়েছে, গাজ়ায় খাদ্যেসঙ্কট ভয়ঙ্কর পর্যায়ে। তার জেরেই ডব্লিউসিকে কমিউনিটি কিচেন পরিষেবা চালাচ্ছিল। যার উপরে নির্ভরশীল ছিলেন বহু মানুষ। আজকের হামলার পরে কমিউনিটি কিচেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন বার বার ডব্লিউসিকে-র কর্মীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল? গাজ়ার সাধারণ নাগরিকদের সমস্যায় ফেলতেই কি পরিকল্পিত ভাবে এই পদক্ষেপ?

আজ গাজ়া সিটির কেন্দ্রস্থল আল-রিমালে বোমাবর্ষণ করে ইজ়রায়েলি সেনা। তার জেরে ভেঙে গিয়েছে একাধিক ঘরবাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে নিখোঁজ অনেকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই মৃত।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, গাজ়ার উত্তর-পশ্চিমে একটি বাড়িতে ইজ়রায়েলি বিমানহানায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। গাজ়া স্ট্রিপের উত্তরেও ইজ়রায়েলের ড্রোন হামলার নিহত হয়েছেন প্যালেস্টাইনের এক বাসিন্দা।

হামাসের অভিযোগ, উত্তর গাজ়ায় হামলা চালানোর সময়ে আন্তর্জাতিক ভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করছে ইজ়রায়েল। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি আন্তর্জাতিক কমিটি গঠনেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

গাজ়ায় অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে বছরের সব চেয়ে বড় হামলা চালাল বিদ্রোহীরা। যার পুরোভাগে রয়েছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামে একটি গোষ্ঠী। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ওই হামলায় শহর ও গ্রাম মিলিয়ে ৫০টিরও বেশি জায়গার কব্জা করেছে বিদ্রোহীরা। ঢুকে পড়েছে আলেপ্পোর পশ্চিমে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আলেপ্পোর অর্ধেক দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। সিরিয়ান অবজ়ারভেটরির ডিরেক্টর রামি আব্দেল রহমান জানিয়েছেন, কার্যত গোলাগুলি না চালিয়েই আলেপ্পোয় ঢুকে পড়েছে আসাদ-বিরোধীরা। তাদের অতর্কিত আগ্রাসনে পিছু হটেছে আসাদ বাহিনী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement