প্রতীকী ছবি
গোড়ায় দাবি করা হয়েছিল, উহানের মাংসের বাজার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। কিন্তু চিনের সেই দাবি নস্যাৎ করে বারবার আমেরিকা বলেছে, বাজার নয়, উহানের বিতর্কিত গবেষণাগারই ভাইরাসের উৎস। এ বার মার্কিন প্রশাসনের সেই দাবিকে জোরালো করল একটি গোপন কেব্ল। ফাঁস হওয়া ২০১৮ সালের ওই বার্তায় উহানের ল্যাবের কর্মীদের দক্ষতা ও এমন ভাইরাস নিয়ে কাজের জন্য জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
গত মে মাসেই ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আমার কাছে নথিপত্র রয়েছে। আমি নিশ্চিত, উহানের ল্যাব থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছিল। তবে কী ভাবে নিশ্চিত হলাম, সেটা এখনই জানানো যাবে না। সেটা আমার উচিতও নয়।’’ একই কথা শোনা গিয়েছিল বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর মুখেও।
মার্কিন বিদেশ দফতরের ফাঁস করা কেব্লটিতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮ সালে উহানের ওই গবেষণাগার ঘুরে দেখতে গিয়েছিলেন চিনের মার্কিন দূতাবাসের কর্তারা। তাঁরা গিয়ে দেখেন, দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। বিপজ্জনক ভাইরাস নিয়ে কাজ করার জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তাও নেই। সেই গোপন কেব্লে এ-ও অভিযোগ করা হয়েছিল, বাদুড়ের দেহ থেকে পাওয়া সার্সের মতো বিভিন্ন ধরনের করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করার অনুমতি রয়েছে ল্যাবটির। কিন্তু সেখানে বিজ্ঞানীরা মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে, এমন বিপজ্জনক সার্স করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন যে দাবি করছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে ভাইরাসটি ছড়ানো হয়েছে, তা মানতে চাননি মার্কিন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরাই। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ইয়ান লিপকিন বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে ভাইরাস ছড়ানোর প্রমাণ নেই।’’ আবার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের টম ইংলেসবাই বলেন, ‘‘গবেষণাগার থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, গোপন কেব্ল থেকে তা প্রমাণ হয় না। আবার বিষয়টা উড়িয়েও দেওয়া যায় না।’’
আরও পড়ুন: দারিদ্র মোচনে রেকর্ড ভারতের: রাষ্ট্রপুঞ্জ