প্রতীকী ছবি।
, ২১ ডিসেম্বর: ২০২১ সালের অক্টোবরেই সদ্য ক্ষমতায় এসেছেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা। তাঁর শাসনকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই তিন কারাবন্দির ফাঁসি হল আজ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দু’বছর পরে এই প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিল জাপানের প্রশাসন। এর আগে ২০১৯ সালে তিন জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে ফাঁসি হয়েছিল ১৫ জনের। জাপান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ঘৃণ্য ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের জন্যই দেশে মৃত্যুদণ্ড চালু রাখা প্রয়োজন।
জাপানের আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাঁসি হওয়া তিন অভিযুক্তের নাম যথাক্রমে ইয়াসুতাকা ফুজিশিরো (৬৫), তোমোয়াকি তাকানেজ়াওয়া (৫৪) ও মিতসুনোরি ওনোগাওয়া (৪৪)। ২০০৪ সালে হাতুড়ি ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে নিজের ৮০ বছরের আত্মীয়া, দুই তুতো ভাই ও আরও চার জনকে হত্যা করেছিল ফুজিশিরো। ২০০৩ সালে একটি গেম পার্লারে দুই করণিককে হত্যা করে তোমোয়াকি ও মিতসুনারি। তাদের অপরাধকে ক্ষমার অযোগ্য তকমা দিয়েছে জাপানের বিচার ব্যবস্থা।
জানা গিয়েছে, জাপানে এখন ১০০ জনেরও বেশি মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী রয়েছে। বেশির ভাগ অপরাধীদের ফাঁসি হওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে জানানো হয় যে সে দিন তার ফাঁসি হতে চলেছে। ডেপুটি চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সেইজি কিহারা জানিয়েছেন, জাপানের অপরাধ সংক্রান্ত বিচার ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হল মৃত্যুদণ্ড। সমাজে যে পরিমাণে ঘৃণ্য অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা একেবারেই ঠিক নয়।
দীর্ঘদিন ধরেই জাপানে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিশ্বের একাধিক মানবাধিকার সংস্থা। উল্লেখ্য, জাপান ও আমেরিকা, জি-৭-ভুক্ত এই দুই দেশেই এখনও মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে।