ইজ়রায়েলি দুই পণবন্দি বৃদ্ধাকে মুক্তি দিল হামাস। ছবি: রয়টার্স।
ইজ়রায়েল থেকে বহু মানুষকে পণবন্দি করে নিয়ে গিয়েছিল প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তাঁদের উপর নানা অত্যাচারের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এ বার উল্টো ছবি দেখা গেল। পণবন্দিদের মধ্যে থেকে দুই ইজ়রায়েলি বৃদ্ধাকে মুক্তি দিল হামাস। সোমবার তারা ঘোষণা করেছে, সম্পূর্ণ মানবিকতার খাতিরে এই দু’জনকে ইজ়রায়েলে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত শুক্রবার দুই বৃদ্ধা হামাসের ডেরা থেকে মুক্তি পান। তবে মুক্তি দিলেও সে দিনই ইজ়রায়েলি সেনা দু’জনকে গ্রহণ করেনি বলে দাবি হামাসের। পরে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘রেড ক্রস’ দুই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে। সোমবার রাতে মিশরের সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, মিশরের সীমান্তে পৌঁছেছেন ইজ়রায়েলি পণবন্দিরা। তবে এই উদ্ধারের প্রক্রিয়ায় তেল আভিভের কোনও ভূমিকা ছিল না বলেও জানিয়েছে মিশরীয় সংবাদমাধ্যম।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, এই দুই বৃদ্ধার নাম নুরিৎ কুপার (৭৯) এবং ইয়োচেভ্ড লিফশিট্জ় (৮৫)। গাজ়ার সীমান্তের কাছেই তাঁদের বাড়ি। তাঁদের এবং তাঁদের স্বামীদের হামাস বন্দি করেছিল। দুই বৃদ্ধাকে মুক্তি দেওয়া হলেও মুক্তি পাননি তাঁদের স্বামীরা।
হামাস একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘মানবিকতার খাতিরে, দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণ দুই ইজ়রায়েলি বৃদ্ধাকে আমরা মুক্তি দিয়েছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত শুক্রবার শত্রুপক্ষ ওঁদের গ্রহণ করেনি।’’ ইজ়রায়েলের তরফে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
হামাস একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে বৃদ্ধাদের মুক্তির বিষয়টি জানিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে চোখমুখ কাপড়ে ঢাকা, বন্দুকধারী হামাসের সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ইজ়রায়েলের দুই বৃদ্ধা। তাঁদের জল এবং খাবার দিতেও দেখা গিয়েছে ওই বন্দুকধারীকে। এই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।
ইজ়রায়েল এবং হামাসের যুদ্ধে বিরতি প্রসঙ্গে সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, সবার আগে হামাস যাঁদের আটকে রেখেছে, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। তার পরেই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় বসা সম্ভব।