ভূমিকম্পের প্রভাবে চিড় ধরেছে বাড়ির দেওয়ালে। আগরতলার অদূরে মলয়নগর গ্রামে এএফপি-র তোলা ছবি।
ভারতে ভূমিকম্পের কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। ঢাকা, রাজশাহী ও লালমনিরহাটে আতঙ্কে হৃদরোগে মারা গেলেন তিন জন। সোমবারের ভূমিকম্পে সিলেট, ঢাকা-সহ আরও কয়েকটি জেলায় আতঙ্কিত হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক ব্যক্তি। শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই আহতের সংখ্যা প্রায় ৩০। পুলিশ সূত্রে খবর, যে তিন জন মারা গিয়েছেন তাঁদের এক জনের বাড়ি ঢাকায়। অন্য দু’জনের বাড়ি যথাক্রমে রাজশাহি এবং লালমণিরহাটে।
এ দিন ভোর ৪টে ৩৯ মিনিটে ভূমিকম্প হয় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে। রিখটার স্কেলে যার কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৭। ভারত ছাড়াও ওই ভূমিকম্পের প্রভাবে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ, মায়ানমারও। তবে, দুপুর পর্যন্ত বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মণিপুরে বড় ভূ-কম্প, হত ৫, আহত ৫০, কেঁপে উঠল এ রাজ্যও
ঢাকার আবহাওয়া দফতরের মতে, গত কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ভূমিকম্পে ঢাকার শাঁখারী বাজারে একটি ভবনে ফাটল ধরেছে এবং মাজেদ সর্দার লেনে ছয়তলা একটি ভবন হেলে পড়েছে।
এ দিন স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪ মিনিটে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পুলিশ সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে ঘর-বাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে আসেন বহু মানুষ। আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। শহরের বহুতলগুলি থেকে হুড়োহুড়ি করে রাস্তায় নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে সাত জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভার্তি করানো হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ঢাকায় মৃত ব্যক্তির নাম আতিকুর রহমান (২৩)। তাঁর বাড়ি জুরাইন এলাকায়। রাজশাহিতে মারা গিয়েছেন খলিলুর রহমান। তাঁর বাড়ি ঢাকার মেহেরচণ্ডী এলাকায়। লালমণিরহাটে মারা গিয়েছেন হয়েছেন নুরুল ইসলাম (৫৫)। তাঁর বাড়ি পাটগ্রামের ঘোড়াবাড়ি গ্রামে।
সিলেট শহরের জিন্দাবাজারের দশতলা বহুতলের একটি দেওয়াল ধসে আহত হয়েছেন একই পরিবারের চার জন। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব বলেছেন, “আমরা বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি। এখন আরও তথ্য সংগ্রহের চলছে।”