crude oil price

Crude oil prices: নামছে অশোধিত তেলের দাম, দোলাচল বিশ্ব জুড়ে

ভারতের মতো বিপুল তেল আমদানিকারী দেশের পক্ষে অশোধিত তেল সস্তা হওয়া সুখবর। দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমার জায়গা তৈরি হয় এর হাত ধরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভিয়েনা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২২ ০৮:০৪
Share:

ফাইল ছবি

অশোধিত তেলের চড়া দরে বিভিন্ন দেশে জ্বালানি আগুন। যা বিশ্ব জুড়ে মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেলে তুলছে। কী ভাবে জ্বালানির দামে রাশ টানা যায়, তার হদিশ পাওয়ার চেষ্টায় মরিয়া তাবড় রাষ্ট্রনায়কেরা। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই বুধবার ব্রেন্ট ক্রুডের দর ব্যারেলে ৯৬ ডলারে নামল। আর এক অশোধিত তেল ডব্লিউটিআই এল ৯১ ডলারের নীচে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, এটা হয়েছে আমেরিকায় তেলের মজুত ভান্ডার প্রত্যাশার তুলনায় বাড়ায়। কারণ, তাতে চাহিদা কমছে। ভারতের মতো বিপুল তেল আমদানিকারী দেশের পক্ষে অশোধিত তেল সস্তা হওয়া সুখবর। দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমার জায়গা তৈরি হয় এর হাত ধরে।

Advertisement

কিন্তু দাম নামছে দেখেই তেল রফতানিকারী দেশগুলির বৃহত্তর গোষ্ঠী ‘ওপেক প্লাস’ তেলের জোগান জুলাই-অগস্টের চেয়ে সেপ্টেম্বরে কম হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ব্রেন্টের পতন বহাল থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগান না বাড়লে দাম চড়ার আশঙ্কা। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই দফায় তা না-ও হতে পারে। কারণ আমেরিকার মতো বহু দেশে মন্দার আশঙ্কা দানা বেঁধেছে। মূল্যবৃদ্ধিকে রুখতে সুদ বাড়ানোর পদক্ষেপে চাহিদা কমছে। যা ধাক্কা দিচ্ছে আর্থিক বৃদ্ধিতে। তেলের চড়া দামে যেখানে সাধারণ মানুষ ভুগছেন, সেখানে এর সুযোগ নিয়ে বিপুল মুনাফা করার জন্য তেল সংস্থাগুলিকে আজ তোপ দেগেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।

উল্লেখ্য, চড়া মূল্যবৃদ্ধি যুঝতে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক চড়া হারে সুদ বাড়ালেও, তাতে এখনও ততটা সুরাহা মেলেনি। তেলের দামে যাতে লাগাম পড়ানো যায়, মূলত সে জন্যই হালে সৌদি আরব সফরে গিয়ে জোগান বাড়ানোর বার্তা দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কোনও চুক্তি না হলেও, তাঁর আশা ছিল ওপেক উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু বুধবার রাশিয়া-সহ বৃহত্তর ওপেক গোষ্ঠী দিনে ১ লক্ষ ব্যারেল বাড়তি তেল উৎপাদনে সহমত হয়েছে। যা বিশ্বের চাহিদার মাত্র ০.১%। জুলাই-অগস্টে বাড়তি জোগান ছিল ৬.৪৮ লক্ষ ব্যারেল। তারা বলেছে, চড়া মূল্যবৃদ্ধি ও কোভিড সংক্রমণ বাড়ায় চাহিদা কমতে পারে ভেবে এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement

এই অবস্থায় মন্দার মেঘ ঘনীভূত হলে তেলের চাহিদা কমার আশঙ্কা। উল্টোটা হলে জোগান ধাক্কা খেয়ে চড়তে পারে অশোধিত তেলের দর। এই দোলাচলেই অস্থির গোটা বিশ্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement