হু-প্রধান টেডরস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস (বাঁ দিকে) ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে তুঙ্গে উঠল তরজা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণের জবাবে করোনা অতিমারি নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান টেডরস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। অতিমারি নিয়ন্ত্রণে হু-র কাজকর্ম ঠিক পথেই এগিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর আর্জি, ‘‘করোনা-রাজনীতিকে কোয়রান্টিন করুন।’’ জবাবে ট্রাম্প অবশ্য জানালেন, হু প্রধানই রাজনীতি করছেন। হু প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন।
হু-র বিরুদ্ধে করোনা নিয়ে চিন-ঘেঁষা অবস্থান নেওয়া ও গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্প। আজ হু প্রধান বলেন, ‘‘আমেরিকা ও চিনের উচিত একযোগে এই ভয়ানক শত্রুর মোকাবিলা করা। সব রাজনৈতিক দলেরই এখন প্রাণরক্ষায় উদ্যোগী হওয়া উচিত। ভাইরাসের রাজনীতিকরণ করবেন না। একমাত্র এই পথে এগোলে আরও মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।’’ মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘এই সংখ্যাও কি অবস্থা বোঝানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়?’’ এর পরেই ট্রাম্প বলেন, ‘‘হু প্রধানই রাজনীতি করছেন। আমরা চিনের চেয়ে হু-কে অনেক বেশি অর্থসাহায্য করেছি। তার পরেও এই চিন-ঘেঁষা অবস্থান আমাদের বা গোটা বিশ্বের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।’’ হু-কে দেওয়া অর্থসাহায্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো বলেন, ‘‘বিভিন্ন সংস্থা সম্পর্কে নির্বাচনী প্রচারের সময়ে প্রেসিডেন্ট যে অবস্থান নিয়েছিলেন, এখনও সেই অবস্থানই নিয়েছেন। যে কোনও সংস্থাকে কাজ করতে হবে।’’
মুখ খুলেছে চিনও। তাদের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি, চিন করোনা প্রতিরোধে সঠিক পথেই এগিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও দেশে মহামারি হলেই সে দেশ ভাইরাসের উৎস হয়ে যায় না। কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎস কোথায় তা বিজ্ঞানীরাই স্থির করবেন।’’ চিনের দাবি, তাদের বিজ্ঞানীরা করোনা নিয়ে যে গবেষণা করেছিলেন, তা থেকে পাওয়া তথ্য জানত আমেরিকা। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, ‘‘চিন যখন এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়ছিল, তখন আমেরিকা সময় পেয়েছে। তারা সেই সময় ও তাদের হাতে থাকা তথ্যের সঠিক ব্যবহার করেছে কি না, সে বিচার ইতিহাস করবে। চিনের বদনাম করলে ফল খারাপই হবে। ভাইরাস সীমান্ত মানে না।’’ বেজিংয়ের দাবি, টেডরসের অধীনে হু বিজ্ঞানসম্মত পথে করোনা মোকাবিলা করেছে।