শত্রুপক্ষ কিছুটা কাহিল। ছবি রয়টার্স।
টানা এক বছর দু’মাস ব্যাপী করোনা-যুদ্ধের পরে শত্রুপক্ষ কিছুটা কাহিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এই নিয়ে চতুর্থ সপ্তাহ হল সংক্রমণ আগের থেকে কম। গত সপ্তাহে ৩১ লক্ষ মানুষ নতুন করে করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। যা তার আগের সপ্তাহগুলির তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। ২৬ অক্টোবরের পর এত কম এই প্রথম। গত দু’সপ্তাহে মৃত্যুও কমেছে ১০ শতাংশ। গত সপ্তাহে করোনায় মারা গিয়েছেন ৮৮ হাজার মানুষ। তবে বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা ‘শান্ত’ হলেও বহু দেশে সংক্রমণ বাড়ছে, জানিয়েছে হু।
আমেরিকা যেমন এখনও ‘বিপদসীমার’ উপরে। গত সপ্তাহে ৮ লক্ষ ৭১ হাজার ৩৬৫ সংক্রমণ ঘটেছে। যা তার আগের থেকে ১৯ শতাংশ কম। ব্রাজ়িল, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেনেও যেমন সংক্রমণের ভয়াবহতা রয়েছেই। যদিও তা আগের সপ্তাহগুলোর থেকে ভাল। সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি কমেছে আফ্রিকা মহাদেশে। গত সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ শতাংশ কম। সবচেয়ে কম সংক্রমণ কমতে দেখা যাচ্ছে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে।
সংক্রমণ কমলেও করোনাকে পুরোপুরি পরাস্ত করতে ভ্যাকসিনের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। আমেরিকায় এখন টিকাকরণ অনেকটাই গতি পেয়েছে। কিন্তু বিশ্বের প্রথম সারির কিছু দেশে ১০ লক্ষ ডোজ়ের উপরে প্রতিষেধক দেওয়া হয়ে গেলেও অন্তত ১৩০টি দেশে এক জনও টিকা পাননি। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী অন্তত ২৫০ কোটি মানুষ এখনও টিকাকরণ প্রক্রিয়ার বাইরে।
টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের ব্যর্থতার কথা জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দেরিতে টিকাকরণ শুরু করেছে। তার পরেও বেশ কিছু বাধা-বিপত্তি। যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল, তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি ইইউ। এর জন্যে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে উরসুলাকে। তাঁর অবশ্য বক্তব্য, টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি চুক্তি মতো প্রতিষেধক সরবরাহ করছে না।