বাইরে উত্তরোত্তর কোণঠাসা হয়ে পড়ে এ বার ঘরে, নিজের দেশে ‘শত্রু’ প্রতিবেশী ভারতের বিরুদ্ধে জোট বাঁধতে নেমে পড়লেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার প্রথম দফায় বুধবার, পাক প্রধানমন্ত্রী এ বার ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সরাসরি পাক পার্লামেন্টে। কোনও দলীয় জনসভায় নয়, এ বার পাক পার্লামেন্টেই প্রধানমন্ত্রী শরিফ বললেন, ‘‘ভারতই লাগাতার আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণরেখায়।’’
লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি, বোঝাতে গিয়ে কোঝিকোড়ে দিনকয়েক আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের একাংশের পাল্টা জবাব দিতেও পিছপা হননি পাক প্রধানমন্ত্রী। শরিফ বললেন, ‘‘ওরা (ভারত) চায়, দারিদ্র্ নির্মূল করতে আমরা ওদের (ভারতের) সঙ্গে পাল্লা দিই। কিন্তু ভারতের বোঝা উচিত, চাষের জমির ওপর দিয়ে সেনারা ট্যাঙ্ক চালালে দারিদ্র্ নির্মূল করা সম্ভব নয়।’’
শুধু মোদীকে পাল্টা জবাব দিয়েই থেমে যাননি পাক প্রধানমন্ত্রী। পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে সাংসদদের বাড়তি সমর্থন কুড়নোর আশায় পাক প্রধানমন্ত্রী আবার ‘আজাদ কাশ্মীরে’র দাবিকে সমর্থন করেছেন জোরালো ভাবে। কাশ্মীরের ‘আজাদি’র জন্য যাঁরা লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। এবং আবার কাশ্মীরের সাম্প্রতিক অচলাবস্থার জন্য ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর ঘটনাকেই দায়ী করেছেন।
তবে যেটা লক্ষ্যণীয়, তা হল- যিনি মোদীকে কী ভাবে যোগ্য জবাব দিতে হয়, তা শরিফকে শিখিয়ে দেবেন বলেছিলেন, সেই পাক রাজনীতির শরিফ-বিরোধী ‘ঘোড়া’ প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খানের দল ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই)-এর এক জনও এ দিন হাজির ছিলেন না পাক পার্লামেন্টের দুই কক্ষ ‘সেনেট’ ও ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’র যৌথ অধিবেশনে। ফলে, ইমরানের ‘ইনস্যুইঙ্গারে’ই ঘরে জোট বাঁধার ‘স্টাম্প’ উপড়ে গেল পাক প্রধানমন্ত্রীর!
আরও পড়ুন- নিয়ন্ত্রণ রেখার ও পারে ১০০ পাক জঙ্গি! হামলার অপেক্ষায়