এই প্রথম ইসলামিক স্টেট বিরোধী অভিযানে সরাসরি অংশ নিল মার্কিন সেনা। সিরিয়ায় এই অভিযান চালায় তারা।
মার্কিন সেনা সূত্রে খবর, ‘স্পেশ্যাল ফোর্স’-এর এই অভিযানে মৃত্যু হয়েছে আইএস নেতা আবু সাইফের। ধরা পড়েছে তার স্ত্রী উম্মা সাইফ। তাকে ইরাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আইএস-এর কাজে উম্মার যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। আইএস বিরোধী অভিযানে প্রধানত মার্কিন বায়ুসেনা অংশ নিচ্ছিল। তাদের সঙ্গে ছিল ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো কয়েকটি পশ্চিমী দেশ এবং সৌদি আরব, কাতার, জর্ডন, কুয়েতের বায়ু সেনাও। ইরাকে মার্কিন সেনা থাকলেও তারা প্রধানত ইরাকি সেনাদের গোপন তথ্য এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করছিল। এ বার আইএস-এর বিরুদ্ধেও সরাসরি অভিযানে নামল মার্কিন সেনা। সিরিয়ার ভূখণ্ডে এর আগে আইএস-এর কাছ থেকে পণবন্দিদের ছাড়াতে অভিযান চালায় মার্কিন সেনা। কিন্তু, তাতে সাফল্য মেলেনি।
আবু সাইফ আইএস-এর হয়ে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের চোরাকারবারের দায়িত্বে ছিল। এই কারবারই আইএস-এর বিপুল সম্পদের উত্স। এক সময়ে এই ব্যবসা থেকে প্রতি দিন কয়েক মিলিয়ন ডলার রোজগার করত আইএস। ফলে, আবু সাইফের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া, আবু বকর আল-বাগদাদি মার্কিন বিমান হামলায় শিরদাঁড়ার চোটে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ায় সংগঠনে গুরুত্ব বাড়ছিল সাইফের।
সূত্রের খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পর শুক্র এবং শনিবার সিরিয়ায় এই অভিযান চালায় মার্কিন সেনাবাহিনী। হেলিকপ্টারে করে নির্দিষ্ট এলাকায় মার্কিন সেনা পৌঁছয়। জঙ্গিরা বাধা দিলে দু’পশ্ক্ষের তীব্র সংঘর্ষ হয়। এতে ১১ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর। এদের মধ্যে আবু সাইফও আছে। তবে, মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যই নিরাপদে তাদের ডেরায় ফিরেছেন বলে সূত্রের খবর। গ্রেফতারি আটকাতে গিয়ে নিহত হন সাইফ। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাশ কাটার জানিয়েছেন, সিরিয়ার পূর্ব দিকে এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল সাইফকে গ্রেফতার করা।