পাকড়াও: শিলিগুড়ির শপিং মল-এর উল্টো দিকে দেখা সেই চিতাবাঘ খাঁচায়। ছবি:বিশ্বরূপ বসাক
ছাগলে অরুচি। কুকুরের মাংসেই নেশা ধরে গিয়েছিল। সে কথা বুঝতে পেরে কুকুরের টোপ দিয়েই খাঁচা পাতা হয়েছিল শিলিগুড়িতে। মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের সেবক রোডে তাতেই ধরা পড়ল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। যাকে শিলিগুড়ির এক শপিং মলের উল্টো দিকে দেখা গিয়েছিল মাত্র সপ্তাহখানেক আগে।
দেখা গেল, তার বাঁ চোখ খারাপ। চোয়ালের দু’টি দাঁত ভাঙা। লেজেও আঘাত রয়েছে। বনকর্তাদের ধারণা, সে জন্যই জঙ্গল ছেড়ে সহজ শিকারের লোভে শহরের আনাচেকানাচে ঘুরছিল চিতাবাঘটি। ভয় ছড়িয়ে পড়ে সারা শহরেই। সেই রাত থেকেই ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচাও পাতা হয়। কিন্তু তার ধারেকাছে ঘেঁষেনি চিতাবাঘটি। কিন্তু শহরের ধারেকাছে যে রয়েছে, তার প্রমাণ মিলছিল। সোমবার দেখা যায়, সেবক রোডের দু’টি গুদামের কাছে পথ কুকুরের খোবলানো শরীর, মাথা পড়ে রয়েছে। বোঝা যায়, কুকুরের মাংসে মজেছে চিতাবাঘটি। তখনই কুকুরের টোপ দিয়ে দু’টি খাঁচা পাতা হয়।
মঙ্গলবার রাতে কুকুরের ডাকে ঘুম ভাঙে এলাকাবাসীর। তাঁরা গিয়ে দেখেন, খাঁচায় চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। পৌঁছয় বন দফতরও। রাতেই সেটিকে সুকনায় নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। পরিবেশবিদদের বক্তব্য, শহর বাড়ছে বলেই এই বিপত্তি। যেখানে চিতাবাঘটিকে ধরা হল, তার দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই দু’টি ঘন জঙ্গল। আহত হয়ে তেমনই কোথাও থেকে এসে এই এলাকার কুকুর ধরে খেতে শুরু করেছিল চিতাবাঘটি। তার পথ ধরে আর কেউ আসে কি না, সেটাই এখন আশঙ্কা। যেমন কেউ কেউ বলছেন, এই চিতাবাঘটিই যে শপিং মলের কাছে গিয়েছিল, সে কথা কে জোর দিয়ে বলবে!