—প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে শিশু নিগ্রহ, ধর্ষণ বা খুনের বিভিন্ন ঘটনার দৃষ্টান্ত ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে দায় এড়ানোর চেষ্টা নিয়ে অভিযোগ তুলে ধরল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গে শিশু অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়া নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট সম্প্রতি লোকসভায় পেশ করেছে তারা। ওই রিপোর্ট গত ডিসেম্বরেই তাঁরা রাজ্যসভায় পেশ করেছিলেন। এর থেকে ফের কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোরের রং লাগতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় কমিশনের ওই রিপোর্ট পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সর্বৈব মিথ্যা বলে নস্যাৎ করে দিয়েছেন কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী। যে কমিশন নাবালিকা কুস্তিগিরদের হেনস্থা নিয়ে নীরব থাকে, তারা হঠাৎ বেছে বেছে কেন পশ্চিমবঙ্গকে ঘিরে রিপোর্ট তৈরি করল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগোর বক্তব্য, “কমিশন এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট দিতে বাধ্য হল। কারণ অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিশু নিগ্রহে তাঁর দলের লোকদের আড়াল করতে নাবালিকার উপরেই দায় চাপান না বা খুনের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা করেন না।”
অনন্যা পাল্টা বলেন, “বিজেপি-শাসিত রাজ্যে শিশুদের জাত, ধর্মের জন্য নিগ্রহের মারাত্মক ঘটনা ঘটে। যা পশ্চিমবঙ্গে ঘটে না। অথচ তখন জাতীয় কমিশন নড়ে বসে না।” শিশু অধিকার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ নিরন্তর সদর্থক কাজ করে চলেছে বলে কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাসও দাবি করেছেন।
প্রিয়ঙ্কের অভিযোগ, নাবালিকা পাচার রোধ বা শিশুদের শিক্ষার অধিকার প্রয়োগে রাজ্য সরকারের নানা খামতি। কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রীর মতো পদক্ষেপের কথা মনে করিয়ে অনন্যার পাল্টা অভিযোগ, ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় জাতীয় কমিশনের কর্তাব্যক্তিরাই স্বীকার করেন শিশু অধিকার রক্ষায় বাংলা অনেকএগিয়ে। কিন্তু তাঁরা সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলনে চলে থাকেন, তাই অন্য রকম রিপোর্ট দিতে হয়।