ছবি: সংগৃহীত।
বিমল গুরুঙ্গকে স্বস্তিতে থাকতে দিল না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগামী দু’সপ্তাহ রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ‘দমনমূলক পদক্ষেপ’ করবে না—সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সেই সুরাহা আদায় করে নিয়েছিলেন গুরুঙ্গ। দিল্লি আসার কথাও ভাবছিলেন। কিন্তু আজই সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অভিযোগ জানাল, গুরুঙ্গ সুপ্রিম কোর্টের কাছে তথ্য চেপে গিয়েছেন। তা ছাড়া, রাজ্যের বক্তব্য না শুনে ‘পলাতক আসামি’ গুরুঙ্গকে কোনওরকম সুরাহা দেওয়া যাবে না বলেও দাবি করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার রাজ্যের আর্জি শুনবে।
সোমবার গুরুঙ্গ শীর্ষ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র মামলা সরানো সহ একাধিক তদন্তের আর্জি জানান। বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করে। নির্দেশ, এর মধ্যে গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে ‘দমনমূলক পদক্ষেপ’ করা যাবে না। আজ সেই বিচারপতি সিক্রির বেঞ্চেই রাজ্যের আইনজীবী চঞ্চল গঙ্গোপাধ্যায়, রাজা চট্টোপাধ্যায়রা প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের কথা না শুনেই কী করে সুপ্রিম কোর্ট কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করতে পারে!
রোশন গিরির বিরুদ্ধেও রাশ আলগা করছে না রাজ্য। রোশনও একাধিক দাবি তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টে। পাল্টা যুক্তি দিয়ে রাজ্যও হলফনামা জমা করেছে। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানান, তাঁরা সহজে হাল ছাড়বেন না।