—ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর নিজস্ব তহবিল তৈরিতে সাহায্য করতে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এর আগেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীর আর্থিক দৈন্যের প্রসঙ্গ তুলেছেন বর্তমান উপাচার্য। এ বছর ভাষা দিবসেও তিনি জানান, বিশ্বভারতীতে অর্থের সমস্যা চলছে।
৯ জুলাই বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে উপাচার্যের স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র আপলোড করা হয়েছে। তাতে উপাচার্য লিখেছেন, ‘‘ভারতের প্রাচীনতম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরেও, বিশ্বভারতী একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যার কোনও নিজস্ব তহবিল নেই। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এমন কিছু খরচ থাকে, যেগুলোর জন্য সরকারি ভাবে অর্থ পাওয়া যায় না। তার জন্যই নিজস্ব তহবিল জরুরি।’’
আবেদনে নিজস্ব তহবিল গড়তে উপাচার্য নিজের সহকর্মী, প্রাক্তনী, বিশ্বভারতীর সঙ্গে যুক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষী সকলের পাশাপাশি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এগিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন। বৃহৎ শিল্প সংস্থাগুলিকেও এ বিষয়ে উৎসাহিত করতে নিজের সহকর্মী, প্রাক্তনী ও অন্যদের সাহায্য চেয়েছেন। দুঃস্থ পড়ুয়াদের সাহায্যের জন্য যে তহবিল আছে, সেখানেও দানের আবেদন জানিয়েছেন উপাচার্য। টাকা দেওয়ার জন্য সব রকম পদ্ধতিও আবেদন পত্রের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের কথায়, “এমন ঘটনা আগে কখনও হয়েছে বলে মনে পড়ছে না। এই আবেদন থেকেই প্রমাণিত হয়, বিশ্বভারতী আর্থিক দৈন্যের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে, যেহেতু এই মুহূর্তে বিশ্বভারতীর আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে আমার ধারণা নেই, তাই এই আবেদনের প্রকৃত কারণ বোঝা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”