Bike Rider

মনের খোরাক ভ্রমণ, দিঘা থেকে সান্দাকফু পাড়ি দুই যুবকের, সাক্ষী থাকল নেপালও

দেবরাজ রায় খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁরই মতো ভ্রমণ পাগল কয়েক জনকে। সকলকে নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তৈরি করে ফেলেছিলেন নিজেদের অসাংগঠনিক সংগঠন ‘ভ্রমণিক বাঙালি’।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ২২:৩০
Share:
দুই যুবক পাড়ি দিয়েছিলেন সমুদ্র থেকে পাহাড়, দিঘা থেকে সান্দাকফু।

দুই যুবক পাড়ি দিয়েছিলেন সমুদ্র থেকে পাহাড়, দিঘা থেকে সান্দাকফু। —নিজস্ব চিত্র।

মনের খোরাক বলতে দুরদুরান্তে ঘুরে বেড়ানো। তাই দূরপাল্লার ভ্রমণের সঙ্গী শখের দ্বিচক্রী। মাঝে মধ্যেই প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে ভালবাসে ওঁরা। এ বার দুই যুবক পাড়ি দিয়েছিলেন সমুদ্র থেকে পাহাড়, দিঘা থেকে সান্দাকফু।

Advertisement

দেবরাজ রায় খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁরই মতো ভ্রমণ পাগল কয়েক জনকে। সকলকে নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তৈরি করে ফেলেছিলেন নিজেদের অসাংগঠনিক সংগঠন ‘ভ্রমণিক বাঙালি’। সমাজমধ্যমে দিন দিন বেড়েই চলেছে সমর্থকের সংখ্যা। যুক্ত হতে চাইছেন অনেকেই। তবে খাতায়কলমে সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ৩০ জনেরও বেশি। মার্চেই ওই ‘পরিবার’ থেকে ‘দূর’- এর খোঁজে পাড়ি দিয়েছিলেন দেবরাজ। সঙ্গী ছিলেন শ্যামল ঘোষ। শুরুতেই বড়সড় উদ্যোগ। সমুদ্র থেকে পাহাড়- দিঘা থেকে সান্দাকফু। মোট দূরত্ব প্রায় ২২০০ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে রওনা দিয়ে বাইকে করে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন ১১ হাজার ৬০০ ফুট উচ্চতায়। তবে যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। বাইকে করে ভারতের দিক থেকে সান্দাকফুর পাহাড়ে ওঠাতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তাই নেপালের দিক থেকে ঢুকে পড়েছিলেন দেবরাজেরা।

দিঘা থেকে মালদহ, মালদহ থেকে ইলাম। সেখান থেকে কালাপোখরি। তার পরে কালাপোখরি থেকে ‘স্বপ্নের পাহাড়’ ছোঁয়া। যেতে সময় লেগেছিল তিন দিন। ফেরার সময় আর নেপাল দিয়ে ঘুরতে হয়নি। সান্দাকফু থেকে মিরিক। সেখান থেকে মালদহ। মালদহ থেকে দুই যুবকের ফিরে আসেন হুগলিতে। বিশ্রাম নিয়ে সময় লেগেছিল মোট চার দিন।

Advertisement

সচরাচর নতুন সংগঠনের এত বড় বাইক-ভ্রমণ খুব একটা চোখে পড়ে না। তাও মাত্র দু’জনে। তাই দেবরাজ ও শ্যামলের ‘অভিযানে’ খুশি দলের সকলেই। আপাতত মাঝে এক দিনের বিশ্রাম নিয়ে নিজেদের কাজে ফিরেছেন দু’জনেই। অপেক্ষায় আছেন পরের সফরের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement