মেজাজ নরম রাখতে চায় তৃণমূল

তাই পাহাড়ের মানুষের ক্ষতির প্রশ্নটি সামনে রেখে বিনয়-অনীতই যদি মোর্চার কর্তৃত্ব দখল করে, তা হলে আখেরে লাভ হবে শাসক দলেরই। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে বিনয়রাও।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুরভোটে পাহাড়ে তৃণমূলকে দেখা গিয়েছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। এখন সেই মেজাজকেই লাগাম পরাতে চাইছেন শাসক দলের নেতারা। বিনয় তামাঙ্গ ও অনীত থাপার জুটি বিমল গুরুঙ্গকে কতটা কোণঠাসা করতে পারে, তার জন্য অপেক্ষা করতে চায় তৃণমূল। তাই এখনই পাহাড়ে আর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি তৃণমূল নেবে না।

Advertisement

পাহাড় তৃণমূলের কয়েকজন নেতা জানাচ্ছেন, বিনয়-অনীতের ক্ষমতা বাড়ানোর উপরেই জোর দিচ্ছে শাসক দল। সে কারণে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও আগের থেকে পাহাড় নিয়ে অনেক নরম। মঙ্গলবার উত্তরকন্যার বৈঠকে তিনি বিনয়-অনীতের অনেক দাবি এক কথায় মেনেও নিয়েছেন। যা বিনয়-অনীত জুটির সাফল্য বলে তুলেও ধরা হচ্ছে। তাতে বিনয়-অনীত জুটির উপরে পাহাড়ের আস্থাও বাড়ছে। এই অবস্থায় তৃণমূল নিজেও জমি দখলের জন্য ঝাঁপাতে চায় না।

পুরভোটে তৃণমূল বেশি আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখানোর ফলে মোর্চাও পাল্টা গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। এই নেতাদের ধারণা, মিরিক হাতছাড়া হওয়ার পরে মোর্চা ভয় পেয়ে যায়। পাহাড়ে নিজেদের অধিকার ফের কায়েম করতে টানা বন্‌ধের মতো বড় আন্দোলনে চলে যায় তারা। সেই আন্দোলনের ফলে পাহাড়ের মানুষ বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে নিশ্চয়ই। কিন্তু গুরুঙ্গের কিছু রাজনৈতিক লাভও হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে যদি শিক্ষা নিয়ে তৃণমূল এখন ‘ধীরে চলো’ নীতি নেয়, তা হলে সেটা তাদের পক্ষে মঙ্গল হবে বলেই মনে করছেন শাসক দলের নেতারা।

Advertisement

তাই পাহাড়ের মানুষের ক্ষতির প্রশ্নটি সামনে রেখে বিনয়-অনীতই যদি মোর্চার কর্তৃত্ব দখল করে, তা হলে আখেরে লাভ হবে শাসক দলেরই। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে বিনয়রাও।

পাহাড় তৃণমূলের সভাপতি রাজেন মুখিয়ার মতো কিছু নেতার মত, পাহাড়ে রসদ বিলি করে দলের সংগঠন জোরদার করার ভাল সুযোগ রয়েছে এখন। বিন্নি শর্মা বললেন, ‘‘নেত্রী পাহাড়ের সব দলকে শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়ায় সামিল করেছেন। পাহাড়ের দলগুলির উদ্যোগে আমরাও সামিল হচ্ছি।’’

দল সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রীও পাহাড়বাসীকে বোঝাতে চাইছেন, পাহাড়ি দলগুলিকেই প্রাধান্য দিতে চান তিনি। জিএনএলএফের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতাও জানান, গুরুঙ্গ লুকিয়ে থাকলেও এখনই জমি দখলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লে
চলবে না। বরং পাহাড়বাসীর আস্থা অর্জনের চেষ্টা করাটাই জরুরি। তাতেই শান্তি ফিরবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement