পরখ: বাঁধন শক্ত তো! দেখে নিচ্ছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
লোকে লোকারণ্য হবে মেদিনীপুর। আশায় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবু কাটছে না আশঙ্কা। যদি প্রতিকূল হয় আবহাওয়া!
মাঝে মাত্র ১১ দিনের ব্যবধান। গত ১৬ জুলাই মেদিনীপুরের যে মাঠে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আজ, শনিবার সেই কলেজ-কলেজিয়েট স্কুল মাঠেই পাল্টা সভা করতে চলেছে তৃণমূল। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই মেদিনীপুরে এই পাল্টা সভার ঘোষণা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “২৮ জুলাই মেদিনীপুরের ওই মাঠেই, যেখানে বিজেপি প্যান্ডেল তৈরি করতে পারেনি, প্যান্ডেল ভেঙে গিয়েছে, সেখানেই সভা হবে। সভা করবে সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।”
সভার যাবতীয় প্রস্তুতি সারা হয়েছে। লোক ভরানোর জন্য গত কয়েকদিনে ব্লকে ব্লকে গিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছেন, ঝড়- জল যাই হোক, শনিবার মেদিনীপুরের সভায় যেতেই হবে। পুলিশের হিসেবে, শহরের এই মাঠে হাজার চল্লিশ লোক ধরে। এর বেশি লোক হলে মাঠ উপচে পড়বে। নেতৃত্বের নির্দেশ, বুথ পিছু ১০০ জন লোক আনতে হবে। সভায় কত লোক আসবে? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “লক্ষ লক্ষ মানুষ শনিবার মেদিনীপুরে আসবেন! আমরা মাঠ ভরিয়ে দেব। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।”
বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, “তৃণমূলের পাল্টা সভা হোক। সভার পরেই তৃণমূল বুঝতে পারবে মানুষ কার সঙ্গে আছেন। বিজেপি না তৃণমূল।” বিজেপির অভিযোগ, মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যাঁরা গিয়েছিলেন সেইসব বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের শনিবারের সমাবেশে যেতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার টোপ দেওয়া হচ্ছে। গোয়ালতোড়ের বিজেপি নেতা তথা দলের জেলা সহ সভাপতি পশুপতি দেবসিংহের অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে প্যান্ডেল ভেঙে যাঁরা জখম হয়েছিলেন তাঁদেরকেও মোটা অঙ্কের টাকার টোপ দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তাঁরা গরিব মানুষ, মোটা অর্থের টানে তাঁরা যদি যায়, আমরা বাধা দেব না।’’ বিজেপির তোলা এইসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে গোয়ালতোড়ের তৃণমূল নেতা জেলাপরিষদ সদস্য চন্দন সাহা বলেন, ‘‘বাজে কথা, আমরা কাউকে টাকাও দিইনি, টোপও দিইনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উন্নয়নের নিরিখেই মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই শনিবারের সমাবেশে যাবেন, কাউকে জোর করার প্রশ্নই নেই।’’
বৃষ্টি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে শাসক দল। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায় বলেন, “বৃষ্টি হলেও সভায় প্রচুর লোক আসবে। সকলকে ছাতা আনার কথা বলা হয়েছে। ২১ জুলাই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে মেদিনীপুরের সভাতেও সবাই ভিজব।”