ধর্মঘট বা ভাড়া বাড়ানোর দাবির প্রতি কড়া অবস্থানই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে পরিবহণে সমস্যা মোকাবিলায় আরও কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
পরিবহণ দফতরের বাজেটের উপরে জবাবি বক্তৃতায় শুক্রবার বিধানসভায় পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু স্পষ্টই বলেছেন, ‘‘কথায় কথায় ধর্মঘট বা যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে মানুষকে অসুবিধায় ফেলা আমরা মেনে নেব না!’’ বেসরকারি বাস মালিকেরা নিজেদের ব্যবসা যাতে ঠিক ভাবে করতে পারেন, সে দিকেও নজর দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু ধর্মঘটের পরিস্থিতি হলে সরকারি বাস দিয়ে তা মোকাবিলা করার পরিকাঠামো রাজ্যের রয়েছে বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। যদিও কড়া পথে
যাওয়ার আগে ভাড়া বৃদ্ধি বা ধর্মঘটের হুমকিকে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
হলুদ ট্যাক্সির সংগঠনগুলি ধর্মঘট বা ভাড়া বৃদ্ধির চেষ্টা করলে তার মোকাবিলায় ওলা, উবেরের মতো অ্যাপ-নির্ভর ট্যাক্সিকে রাজ্য সরকার বেশি করে অনুমোদন দিতে পারে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এখন ঝটিতি ওলা, উবের ট্যাক্সি বেছে নেওয়ার সুযোগ শহরবাসীর আছে। এই পরিষেবার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে হলুদ ট্যাক্সিকেও অ্যাপ প্রযুক্তির মধ্যে নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু।
এরই সঙ্গে মোটরযান বিভাগের দুর্নীতি বন্ধে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। যাতে রেজিস্ট্রেশনহীন গাড়ি আর পথে বেরোতে না পারে, তার জন্য রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ডানকুনি, ধূলাগড়, পানিট্যাঙ্কির মতো বিভিন্ন জায়গাকে মোটরযান বিভাগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। শহর কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় বাসের সঙ্কটের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। সেই অভিযোগ মাথায় রেখে ২৫৫টি নতুন বাসের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কলকাতা, বিধাননগর, ব্যারাকপুর, হাওড়ায় ৪০টি নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চালু হবে। এই বাসগুলিতে জিপিএস প্রযুক্তি, অ্যালার্ম থাকবে বলে শুভেন্দু জানিয়েছেন।
দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনিক জটে থমকে রয়েছে সাঁতরাগাছিতে
বাস টার্মিনাস তৈরির কাজ। এইচআরবিসি এবং পূর্ত দফতরের সমস্যায় কাজ বিশেষ এগোয়নি। সেই জট কাটাতে আগামী ৫ জুলাই এইচআরবিসি, পূর্ত দফতর এবং পুলিশকে নিয়ে বৈঠক করার কথা পরিবহণমন্ত্রীর।