দুয়ারে সরকারে নতুন সংযোজন পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিষেবা। —গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।
দুয়ারে সরকারের সপ্তম পর্ব শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। এ বার সংযোজিত পরিষেবাগুলির মধ্যে অন্যতম পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণ। সেই কাজ যাতে সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়িত হয় তার জন্য জেলায় জেলায় ছোটা শুরু করে দিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম। সেই কোভিডের সময় থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করছেন গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের রসায়নের অধ্যাপক। কী সুবিধা পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা? সামিরুল বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্য থেকে যাঁরা ভিন্রাজ্য বা ভিন্দেশে কাজ করতে যান তাঁদের পরিচিতিপত্র নেই। দুয়ারে সরকার শিবিরে নাম নথিভুক্তিকরণের মাধ্যমে সেটাই করার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে।’’ তাতে লাভ কী? সামিরুল জানিয়েছেন, এতে দুর্ঘটনায় কোনও শ্রমিক জখম বা হলে বা কারও মৃত্যু হলে তিনি বা তাঁর পরিবার সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। নতুন করে তাঁদের বিপন্ন হতে হবে না। কারও মৃত্যু হলে দেহ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও ওই পরিচিতিপত্র কাজে লাগবে। সম্প্রতি মিজোরামে রেলের নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে ২৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই মালদহ জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
সামিরুলের মূল সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’। তাঁরা কাজ করেন অনগ্রসর অংশের মানুষজনকে নিয়ে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তৃণমূল-সামিরুল ‘সেতুবন্ধন’ করে দিয়েছিল। কোভিড-পর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ গঠন করেছিলেন। তার চেয়ারম্যান সামিরুল। তিনি বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, দুয়ারে সরকার শিবিরে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে দুয়ারে সরকার শিবির। সারা রাজ্যে ন’হাজার ক্যাম্প হয়েছে। ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য জলপাইগুড়ি জেলায় হচ্ছে না। সেখানে পরে এই কর্মসূচি হবে।
প্রথম দু’দিনে দুয়ারে সরকার শিবিরে পরিযায়ী শ্রমিকদের কত নাম নথিভুক্ত হয়েছে তা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বলতে পারেননি সামিরুল। তাঁর কথায়, ‘‘সব জেলা থেকে পরিসংখ্যান পেতে সোমবার হয়ে যাবে।’’ তাঁর দাবি, সারা রাজ্যেই প্রচুর সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক তাঁদের নাম নথিভুক্ত করছেন।