অনুষ্ঠান চলছিল কলেজে। আচমকা মঞ্চে উঠে মাইক কেড়ে নেয় জনা কয়েক যুবক। কাশ্মীরে জওয়ানদের নিহত হওয়ার ঘটনায় যখন গোটা দেশ শোকাহত, সেই সময়ে এমন নাচ-গান করা চলবে না বলে দাবি করে তারা। পূর্ব বর্ধমানের গলসি কলেজে ‘সোশ্যাল’ অনুষ্ঠানে এ ভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েক জন বহিরাগতের বিরুদ্ধে।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ ওই যুবকদের বাধায় অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। যদিও কোনও গোলমালের কথা মানতে চাননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ কুমারেশ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘শনিবার থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। হয়তো তার একটু আগে শেষ হয়েছে। গণ্ডগোল তেমন কিছু হয়নি।’’
অনুষ্ঠানে হাজির থাকা পড়ুয়াদের অভিযোগ, মঞ্চে উঠে যারা অশান্তি পাকিয়েছে, তারা এই কলেজেরই প্রাক্তন পড়ুয়া। টিএমসিপি-র সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তারা। অনুষ্ঠান নিয়ে সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মতের অমিলের জেরেই এই গোলমাল বলেও ছাত্রছাত্রীদের একাংশের দাবি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনা কয়েক পড়ুয়া বলেন, ‘‘কয়েকজন মাঝপথে মঞ্চে উঠে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলে হাতাহাতিও বাধে।’’ তবে অধ্যক্ষের মতোই স্থানীয় বিধায়ক তথা কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি অলোককুমার মাজি দাবি করেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। গোলমাল হয়নি।’’ কিন্তু অনুষ্ঠান বন্ধের ঘটনার কথা স্বীকার করেন গলসি ২ ব্লক টিএমসিপি সভাপতি অমিতাভ সাঁই। তিনি বলেন, “আমি কাজে বাইরে রয়েছি। শুনলাম, বাইরের কিছু ছেলে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করেছে। এটা কাম্য নয়। কী হয়েছে খোঁজ নেব।”