প্রতীকী ছবি।
এক রাতে একই এলাকার ৬টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটল ধূপগুড়িতে। সেই সঙ্গে একটি ক্লাবেও যথেচ্ছ ভাঙচুর চালালো চোরেরা। রবিবার গভীর রাতে ধূপগুড়ির পুরনো শালবাড়ির বাজার এলাকার এই চুরির ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সোমবার সকালে ব্যবসায়ীরা বাজারে আসার পর ঘটনাটি জানতে পারেন। প্রথমে মোবাইলের দোকানের তালা ভাঙা দেখেই সন্দেহ হয় তাঁদের। এর পর একে একে আশপাশের মোট ৬টি দোকানে চুরির ঘটনা সামনে আসে। জানা যায়, বাজার সংলগ্ন একটি ক্লাবেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তবে তালা ভেঙে চুরি করতে ঢুকলেও চোরেরা বেশির ভাগ দোকান থেকেই বিশেষ কিছু নিয়ে যেতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। কোনও দোকান থেকে খোয়া গিয়েছে শুধুই খুচরো পয়সা, কোথাও আবার সিগারেটের প্যাকেটও নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। ক্লাবের আলমারির তালা ভাঙলেও কিছু খোয়া যায়নি সেখান থেকে। তবে একটি মোবাইলের দোকানে ঢুকে মোবাইল ফোন ও অন্য একটি দোকান থেকে কিছু নগদ টাকা চুরি হয়েছে।
ঘটনাটিকে অবশ্য স্রেফ ক্ষতি দিয়ে বিচার করছেন না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ক্ষতি কম হলেও একই রাতে এলাকার ৭টি জায়গায় এমন চুরির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, বাজারে কোনও রাত-পাহারার বন্দোবস্ত না থাকায় এমনটা হয়েছে। তাঁদের দাবি, চুরি-ডাকাতি করে এখান থেকে সহজেই বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব। শুধু তাই নয়, বাজারে কোনও বড় বাতিস্তম্ভ না থাকায় এলাকাটি অন্ধকারও হয়ে থাকে। এত দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি, তাই বিষয়টি নিয়ে সে ভাবে কেউ ভাবেননি। কিন্তু একসঙ্গে একই রাতে এমন ৭টি চুরি নিয়ে আতঙ্কিত এলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও। এলাকায় পুলিশি টহলের দাবি জানিয়ে ধূপগুড়ি থানায় আবেদন করেছেন তাঁরা। সোমবার ঘটনার তদন্তে এসে ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা অবশ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পুলিশি টহলের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।