প্রতীকী ছবি।
বিজেপির রাজ্য পদাধিকারী মণ্ডলী এবং জেলা সভাপতিদের তালিকায় মতুয়া প্রতিনিধি না-থাকায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বিজেপির মতুয়া বিধায়কদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই জট কাটার আগেই নতুন জটিলতা তৈরি হল বিজেপি শিবিরে। নয়া নাগরিকত্ব আইন এখনও কার্যকর না-করায় কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষল বিজেপির রাজ্য উদ্বাস্তু সেল। ওই সেলের আহ্বায়ক মোহিত রায় এবং সহ আহ্বায়ক সুজিত সিকদার সোমবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয়েছে ২০১৯-এর ১২ ডিসেম্বর। তার পর চার বার বিধি (রুল) তৈরির জন্য সময় বাড়িয়েও কেন্দ্রীয় সরকার তা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে জনসভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের শীর্ষ নেতারা বারংবার আশ্বাস দিয়েছিলেন, অবিলম্বে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করা হবে এবং তাই উদ্বাস্তুরা তাঁদের সমর্থনও জানিয়েছেন। ওই আইন প্রয়োগে এই ব্যর্থতা নেতৃত্বের প্রতি মানুষের অনীহা বৃদ্ধি করছে।”
২০২১-এর ২৭ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিত বয়ানে লোকসভাকে জানান, ওই আইনের বিধি তৈরির সময়সীমা বাড়িয়ে ৯ জানুয়ারি ২০২২ করা হয়েছে। রবিবার সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্র ওই আইনের বিধি প্রকাশ করেনি। মোহিতের অভিযোগ, ওই বিধি তৈরিতে দেরির ফলে উদ্বাস্তুরা বিভিন্ন আইনি সমস্যায় পড়ছেন। বিধি তৈরির জন্য চার বার সময় নিয়েও তা ব্যবহার না করায় আগামী দিনে লোকসভার কমিটি অন সাব-অর্ডিনেট লেজিসলেশন আদৌ আবার অতিরিক্ত সময় অনুমোদন করবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ী মোহিতরা।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিধানসভা ভোট, তার পরে দু’দফায় সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং কলকাতা পুরসভার ভোট— সব ক্ষেত্রেই পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য উদ্বাস্তু সেলের মতে, নয়া নাগরিকত্ব আইনের ক্ষেত্রে এখনও প্রতিশ্রুতি পালন না করায় মানুষ দলের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না। ভোটের ফলে তারই প্রমাণ মিলছে।