গৃহশিক্ষকের কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল একাদশ শ্রেণির তিন ছাত্রী। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল তাদের একজনের। গুরুতর জখম অন্য দুই ছাত্রীকে ভর্তি করানো হল হাসপাতালে। তবে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরে গাড়িটি পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। এলাকার মানুষ গাড়ির চালককে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে পুলিশ ওই গাড়িতে থাকা আরও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদল থানার গাড়ুঘাটা এলাকার হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম মধুমিতা বাগ (১৬)। সে নন্দকুমারের মাধবপুরের বাসিন্দা। বাকি দুই ছাত্রী সুমিতা বাগ ও পিঙ্কি নায়েকও একই এলাকায় থাকে। সুমিতা মৃত মধুমিতার খুড়তুতো বোন। তাদের দু’জনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এই ঘটনার পরে এলাকায় কিছু মানুষ রটিয়ে দেন, ইভটিজিংয়ের জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। হাসপাতালে শুয়ে জখম সুমিতাও রাতে একই কথা জানিয়েছে। সে জানায়, গাড়িটি প্রথমে তাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। পরে সেটি পিছিয়ে এসে তাদের ধাক্কা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন জনই তাজপুর হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। তারা এ দিন মহিষাদলে গৃহশিক্ষকের কাছে যাচ্ছিল। হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে এসে তাদের গাড়ুঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে ট্রেকারে ওঠার কথা ছিল। সুমিতার বাবা নরসিংহ বাগ বলেন, ‘‘মেয়ে আর ভাইঝি পড়তে গিয়েছিল। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে, ভাবতে পারিনি!’’