মারধরের অভিযোগ সাঁইথিয়ায়

বর্গাদারকে মারধর করে কাটা ধান নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠল জমি মালিক ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা জামাই-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে সাঁইথিয়ার মাঠপলসা এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় মাঠপলসার বাসিন্দা বর্গাদার শেখ আবদুল্লা সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর ছেলে আবুল কালাম ওই দিন রাতেই সাঁইথিয়া থানায় ওই তৃণমূল নেতা তথা সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৫৬
Share:

বর্গাদারকে মারধর করে কাটা ধান নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠল জমি মালিক ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা জামাই-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে সাঁইথিয়ার মাঠপলসা এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় মাঠপলসার বাসিন্দা বর্গাদার শেখ আবদুল্লা সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর ছেলে আবুল কালাম ওই দিন রাতেই সাঁইথিয়া থানায় ওই তৃণমূল নেতা তথা সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাঠপলসা গ্রামের খেতমজুর শেখ আবদুল্লা। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মহম্মদ হোসেনের প্রায় আড়াই বিঘা ও দেড় বিঘার মতো খাস জমিতে বর্গা চাষ করেন। তাঁর ছেলে আবুল কালামের অভিযোগ, “এলাকার হরিশকোপা মৌজায় হোসেনের ১০০ শতক ও একই মৌজায় এবং পাশাপাশি পঞ্চাশ শতক সরকারি খাস জমিতে বহুদিন থেকে চাষ করে আসছি। ১৯৮০ সালে ওই জমিগুলি বাবার নামে বর্গা রেকর্ড হয়। অনেক দিন থেকে বর্গা উচ্ছেদের জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন জমি মালিক হোসেন। তাঁর জামাই আসাদুর জামান ওরফে আতিক পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী কর্মাধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকে সেই হুমকি চরমে ওঠে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “শনিবার সকাল ন’টা নাগাদ আতিকের নেতৃত্বে জমি মালিক, তাঁর ছেলে-সহ বেশ কয়েকজন ট্রাক্টরে করে প্রায় দু’বিঘা জমির ধান তুলে নিয়ে যায়। বাবা বাধা দিলে তাঁরা বাবার উপরে লোহার রড ও লাঠি নিয়ে চড়াও হন। আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাবাকে সাঁইথিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমানে বাবা সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।” মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি আতিকের। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “গত ৫-৬ বছর থেকে আবদুল্লা আমার শ্বশুরকে তাঁর প্রাপ্য ভাগ দেন না। শনিবার শ্বশুরমশায় আবদুল্লার কাছে তাঁর এ বারের প্রাপ্য ধানের ভাগ চান। আবদুল্লা তা দিতে অস্বীকার করেন। এই নিয়ে ওঁদের মধ্যে বচসা হয়।” তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement