শিলিগুড়ি, কোচবিহার, বালুরঘাট কিংবা মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসানসোলগামী বহু বাস লোটাস প্রেস মোড়ে বাসস্টপে দাঁড়ায়। আবার স্থানীয় যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এই বাসস্টপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিকাশি সমস্যার কারণে বৃষ্টিতে হাঁটুজল জমে যায় এখানে। শুধু এই বাসস্টপে নয়। নিকাশির কারণে এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতেও জল ঢুকে যায়।
রামপুরহাট ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই নিকাশির সমস্যা দীর্ঘ দিনের। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জেতে গেলে এই এলাকার বাসিন্দাদের অন্যতম ভরসা যেমন এই বাসস্ট্যান্ড তেমনি শহরের প্রধান বাজার, রেলস্টেশন, আদালত, রামপুরহাট কলেজ, তিনটি বড় স্কুল, মহকুমাশাসক ও পুলিশ আধিকারিকের দফতরে যাতায়াতের জন্য গাড়ি ধরতে হয় এই বাসস্ট্যান্ড থেকে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেও লোটাস প্রেস মোড় ও কামারপট্টি মোড়ের নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করা যায়নি বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা কমল বিশ্বাস বলেন, “বর্ষার সময়েই প্রতি বছর সংস্কার শুরু হয়। ফলে বৃষ্টিতে প্রতি বছরই রাস্তা ভেঙে যায়। পুরবাসীর সমস্যা আর দূর হয় না।” রামপুরহাট শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডের নিকাশি নালার জল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লোটাস মোড়ের নিকাশি নালা দিয়ে বের হয়। কিন্তু এই নালাটি নিয়মিত সাফাই করা হয় না। ফলে শুধু জল জমে তা নয়, গন্ধে টেকা দায়।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, পুরপ্রধান থেকে বিধায়ক, সাংসদ, প্রশাসন সকলেই এই সমস্যার কথা জানেন। কিন্তু সমস্যা সমাধানে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পুষ্পিতা মণ্ডল সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “শহরের সমস্ত ওয়ার্ডের জল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে যাওয়ার জন্য আলাদা করে নিকাশির একটা চাপ আছে ওখানে। জমা জল দ্রুত বেরিয়ে যায় সে জন্য এলাকায় একটি পাম্পিং স্টেশন করার প্রস্তাব পুরসভায় দেওয়া হয়েছে।” ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, তৃণমূলের সুশীল বোথরা আবার কামারপট্টি মোড় থেকে পালিরামের মোড় পর্যন্ত রাস্তা উঁচু করার কথা বলেছেন।
উপপুরপ্রধান অনিন্দ্য সাহার দাবি, “পাম্পিং স্টেশনের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে।” যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এখনও পুরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলের সভায় পাম্পিং স্টেশন তৈরির মতো কোনও অনুমোদনই দেওয়া হয়নি। ফলে এই বর্ষায়ও নিকাশির সমস্যা মিটবে আশা দেখছেন এলাকার বাসিন্দারা।