পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি অঞ্চল স্তরে সভা সমিতির উপরেই গুরুত্ব দিল তৃণমূল। রবিবার দুপুরে বোলপুরের অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে, জেলা কমিটির বৈঠকে ফের একবার স্পষ্ট করেদিলেন অনুব্রত। শুধু তাই নয়, বৈঠক না করে রেজলিউশন জমা দিলে শাস্তি অনিবার্য বলেও জানিয়েছে জেলা নেতৃত্ব।
বৈঠক সূত্রে খবর, পানীয় জলের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় ওই বৈঠকে অনুব্রত খয়রাশোল এবং রাজনগরে দুটি সোলার পাম্প দেওয়ার কথা জানান। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে অঞ্চল তথা ব্লক নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী।
অন্যান্য জেলার সাংগঠনিক কাজকর্ম থেকে বীরভূম এগিয়ে দাবি জানিয়ে, জেলার কয়েকটা অঞ্চলের কাজকর্ম নিয়ে কার্যত অখুশি বোলপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। মন্ত্রী বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ মেনে সভা সমিতি ও বৈঠক করতে হবে। এবং তার সিধান্ত জমা দিতে হবে। সাংগঠনিক কাজ কর্ম না করলে, জেলা নেতৃত্ব তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সুতরং, পদ না আগলে রেখে, দায়িত্ব ছেড়ে দিন।’’
এ দিনের বৈঠকে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, জেলার দুই বিধায়ক তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রনাথ সিংহ, একাধিক বিধায়ক সহ দলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ সহ জেলা কমিটি নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
জেলা তৃণমূলের দাবি, সাত্তোর অঞ্চল থেকে শতাধিক সিপিএম কর্মী সমর্থক দলে যোগ দিয়েছে। সদ্য দলে যোগদানকারীদের হাতে, দলীয় পতাকা তুলে দেন অনুব্রত।
বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অনুব্রত বলেন, ‘‘নিয়ম মোতাবেক দলের এটি রুটিন জেলা কমিটির বৈঠক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আমরা তৈরি।’’