Internal Conflict

‘দ্বিতীয় অনুব্রত’ হলেন ধ্রুব, তোপ বহিষ্কৃত অনিলের

বুধবার সমাজমাধ্যমে অনিল অভিযোগ করেন, বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে যুক্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

  নলহাটি শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহাকে ‘দ্বিতীয় অনুব্রত মণ্ডল’ বলে কটাক্ষ করলেন দলের বহিষ্কৃত নেতা অনিল সিংহ। ধ্রুব সাহার ‘সম্পত্তি’ সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র বুধবার সমাজমাধ্যমে দিয়ে দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণেরও চেষ্টা করেছেন নলহাটির বাসিন্দা অনিল। পাল্টা আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা সভাপতি।

Advertisement

বিজেপি সূত্রের খবর, ধ্রুব সাহা জেলা সভাপতি (তখনও দল দুই সাংগঠনিক জেলায় ভাগ হয়নি) হওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে অনিল সিংহের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। অনিলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে জেলা থেকে নালিশ পৌঁছয় রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। গত বছর জুনে বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে অনিল সিংহকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। সেই বার্তায় জানানো হয়, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নির্দেশে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল অনিলের বিরুদ্ধে।

বুধবার সমাজমাধ্যমে অনিল অভিযোগ করেন, বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে যুক্ত। তাঁর ‘দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় রাজ্য নেতৃত্বকে দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করানো হয় বলেও তিনি দাবি করেন। সমাজমাধ্যমে কিছু নথির ছবি দিয়ে অনিল দাবি করেছেন, কোন সম্পত্তি ধ্রুব সাহা কত টাকা দিয়ে কিনেছেন। সেই সব জমি তারাপীঠ সংলগ্ন কৌড়া মৌজা, রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর মৌজায় রয়েছে বলে অনিলের দাবি।

Advertisement

অনিল সিংহ এই পোস্টই করেছেন সমাজমাধ্যমে। নিজস্ব চিত্র।

অনিল এ দিন বলেন, “জেলা সভাপতি হওয়ার আগে যাঁর একটি জামা কেনার ক্ষমতা ছিল না, সেই ধ্রুব সাহা তিন বছরে কী ভাবে দ্বিতীয় অনুব্রত মণ্ডল হয়ে উঠলেন? সম্পত্তি কেনার টাকার উৎস কি?’’ তাঁর দাবি, জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতের বিরুদ্ধে যেমন সিবিআই, ইডি তদন্ত চলছে, ধ্রুবর বিরুদ্ধেও তদন্ত হোক। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, জেলা সভাপতির কাজকর্ম মেনে নিতে পারছেন না দলের বহু পুরনো নেতা-কর্মী। মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই রাজ্য ও কেন্দ্র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন সমাজমাধ্যমে লিখে।

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ধ্রুব সাহা। বুধবার তিনি বলেন, “কারও ব্যক্তিগত কোনও তথ্য সমাজমাধ্যমে দেওয়া যায় না। এত দিন উনি অনেক পোস্ট করেছেন আমার বিরুদ্ধে। এ বার আমি ওঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। সেই সঙ্গে সাইবার ক্রাইম সেলেও অভিযোগ
দায়ের করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement